লাইফস্টাইল

রাগ কমাবেন যেভাবে

মানুষ মাত্রই রাগ থাকবে। জীবনে হাসি, আনন্দ, দুঃখ যেমন সত্যি তেমনই সত্যি এই রাগও। রেগে যাওয়ার কারণ থাকতে পারে অসংখ্য। সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। কথা হলো, আপনি এই রাগকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কারণ রাগের জন্যই মানুষের মধ্য থেকে অনেক ইতিবাচক বিষয় চলে যায়। আপনজনেরা ভুল বোঝে। তাই রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। রেগে গিয়ে ভাঙচুর করার আগে নিজের মুখোমুখি হন নিজেই। আপনার যে রাগ বেশি সেটা বুঝুন প্রথমে৷ এবং তার জন্য আপনি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়৷ কারণ যে ঘটনায় আপনি রেগে যান, তাতে অন্য অনেকেই দিব্যি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন৷ এবার ঠিক করুন রাগ কমাবেন এবং প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নেমে পড়ুন৷

Advertisement

আরও পড়ুন: রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

কোন কোন ঘটনায় রেগে যান তা বুঝে নিন৷ সে রকম পরিস্থিতি যাতে না হয় সে চেষ্টা করুন৷ তার জন্য যদি নত হতে হয় সে-ও ভালো৷ নত হতে হয়েছে বলে যদি খারাপ লাগে, ভেবে দেখুন এর বিনিময়ে আপনার শরীর, মানসিক শান্তি, সম্পর্ক সবই কিন্তু রক্ষা পেল৷

চেষ্টা করেও পরিস্থিতি এড়াতে না পারলে প্রতিজ্ঞা করুন, যা-ই ঘটুক আপনি শুধু শুনে বা দেখে যাবেন, রাগবেন না৷ এমন কথা বলবেন না যাতে পরিস্থিতি জটিল হয়৷

Advertisement

চেষ্টা বিফলে গেলে অস্থির হবেন না৷ অন্য ইমোশনের মতো রাগও খানিক ক্ষণের মধ্যে কমতে শুরু করবে৷ ধৈর্য ধরুন৷ মুখ বন্ধ রাখুন৷ সম্ভব হলে সে জায়গা থেকে সরে যান। হনহন করে হেঁটে আসুন, মাথায় জল ঢালুন কি ঘরের কাজ করুন বা কারও সঙ্গে কথা বলে মাথা ঠান্ডা করে নিন৷

এসব কোনওটাই সম্ভব না হলে কাজে আসবে সুইচ অফ-সুইচ অন মেকানিজ্ম এবং ভিস্যুয়াল ইমেজারি৷ এটি হলো পরিস্থিতির মাঝখানে বসে গভীরভাবে অন্য পছন্দের কিছু ভাবা যাতে মন চলে যায় অন্য কোনও রাজ্যে৷ বিশেষজ্ঞের কাছে শিখে ঘরে প্র্যাকটিস করলে বিপদের সময় কাজে লাগবে৷

আরও পড়ুন: রোজায় সতেজ থাকবেন যেভাবে

যোগাসন, মেডিটেশনে শরীর-মন ঠান্ডা থাকে৷ চট করে রাগ ওঠে না৷ বা উঠলেও সহজে নেমে যায়৷ বিশেষজ্ঞের কাছে শিখে এদের জীবনের অঙ্গ করে নিন৷

Advertisement

এইচএন/জেআইএম