খেলাধুলা

লড়াইটা দুই ক্যারিবীয় কোচেরও

রোমাঞ্চকর টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান। সাকিব আল হাসানের মুখোমুখি রশিদ খান। তামিম ইকবালের মুখোমুখি মোহাম্মদ শাহজাদ। লড়াইটা কি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ? না, মাঠের বাইরে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে নামবেন দুই কোচ ফিল সিমন্স আর কোর্টনি ওয়ালশও। আফগানিস্তান আর বাংলাদেশের কোচ দুজনই আবার একই দেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

Advertisement

ফিল সিমন্স আফগানিস্তানের চুক্তিবদ্ধ প্রধান কোচ। কোর্টনি ওয়ালশ অবশ্য অস্থায়ী। বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তী আপদকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফিতে তার অধীনে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে ভারতের কাছে একটুর জন্য হেরে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এদিকে, ফিল সিমন্সও দায়িত্ব নিয়ে আফগানিস্তান দলকে বেশ গুছিয়ে এনেছেন। তার অধীনেই জিম্বাবুয়ের মতো টেস্ট আঙিনার অভিজ্ঞ দলকে পেছনে ফেলে ২০১৯ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে আফগানরা।

একটা সময় সিমন্স আর ওয়ালশ একইসঙ্গে খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলে। ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সিমন্স অবসর নেন ১৯৯৯ সালে। ক্যারিবীয়দের পক্ষে ২৬টি টেস্ট আর ১৪৩টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা তার।

Advertisement

ওয়ালশের অভিষেক হয় আরও আগে, ১৯৮৪ সালে। খেলেছেন ২০০১ সাল পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কিংবদন্তী এই পেসার ১৩২টি টেস্ট আর ২০৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে দুজনই কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই জায়গায় অবশ্য অভিজ্ঞতায় এগিয়ে সিমন্স। আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেয়ার আগে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোচিং করিয়েছেন তিনি। অপরদিকে, ওয়ালশ বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেখা যাক, বন্ধু এবং এক সময়ের সতীর্থ সিমন্সের সঙ্গে লড়াইয়ে ওয়ালশ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেন কি না!

এমএমআর/জেআইএম

Advertisement