মতামত

ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করুন

প্রতিবছর ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয় বেশ কিছু উদ্যোগ। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কাজ করছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। যে কোনো মূল্যে মহাসড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখতে হবে।

Advertisement

এবার ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুরবস্থার কথা ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে এসেছে। সত্যি বলতে কি অন্য সড়ক মহাসড়কগুলোর অবস্থাও তেমন ভাল নয়। এজন্য ঈদযাত্রা কতটা নির্বিঘ্ন হবে এটি নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

মহাসড়কে যানজট নিরসনে বেশকিছু করণীয় রয়েছে। ফিডার রুট থেকে মহাসড়কে অল্প গতির যানবাহন না ওঠা, মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধ করা, সড়কের পাশ থেকে বাজার দূরে সরিয়ে নেয়া, যেসব স্পটে যানজট হয় সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্রেনের ব্যবস্থা রাখা, সকল বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা রাখা, বিকল হওয়া গাড়ি দ্রুত সরিয়ে নেয়ার মতো বিষয়গুলোতে জোর নজর দিতে হবে।

এছাড়াও যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের একদিনে ছুটি না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দেয়া যেতে পারে। তাহলে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে ৩০ লাখ পোশাক শ্রমিক। পাশাপাশি মহাসড়কে কোনোভাবেই যেন লক্কর ঝক্কর বাস না নামতে পারে এ ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে।

Advertisement

ফিটনেসবিহীন লঞ্চ-স্টিমার যেন নৌপথে চলতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নদীপথের যাত্রা কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায় সে ব্যাপারেও নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ। রেলপথেও যাত্রী বিড়ম্বনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রেলের শিডিউল বিপর্যয় রোধ করতে হবে যে কোনো মূল্যে।

ঈদে প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ তাদের কর্মস্থল ছেড়ে যায় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উৎসব করতে। সেই যাত্রাকে যতোটা সম্ভব বিড়ম্বনামুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকাই কাম্য। যাত্রাপথের বিড়ম্বনায় ঈদের আনন্দের সামান্য ঘাটতিও যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তের কর্তব্য।

এইচআর/জেআইএম

Advertisement