সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা কালবৈশাখী সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। আর অগণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়। এ ধরনের নির্বাচন করেও পার পাওয়া যাবে না। এবার প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে। দেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ভারতের ডাল-ভাত, নুন খেয়েছি। এর মানে সব কিছু দিয়ে দেয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি যা দিয়েছি ভারত তা চিরদিন মনে রাখবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জেএসডির উদ্যোগে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলন।
বি. চৌধুরী বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। আমরাও চাই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীন দেশের নাগরিকদের পাখির মত গুলি করার অধিকার কেউ চায় না। মুক্তিযুদ্ধে দেশ রক্তাক্ত হয়েছে। আর রক্তাক্ত হতে চায় না। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। এগুলো কি সরকার জানে না। এ সব কিছুর বিচার হবে। দেশের সব নিপীড়িত মানুষের ঐক্য হবে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে।
Advertisement
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের এত দৌড়ঝাঁপ কেন? প্রধানমন্ত্রী দুঃখের সঙ্গে ভারতকে বলেছেন দিয়েছি অনেক আর কত! ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজেই বলেছেন ২৫ হাজার কোটি টাকার ব্যয় কমেছে হাসিনার কারণে।
তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছেন যার প্রভাবে একরামুল হত্যা। জজ সাহেবদের পাঁচ মাস ছুটি দরকার। এখনও সেই ব্রিটিশ আমলেই চলছে কোট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতকে সবকিছু দিয়েছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন। আপনাকে সবকিছু দেয়ার ক্ষমতা জনগণ কবে দিল? আজকের যে শিশু জন্মগ্রহণ করছে তাদেরও মাথাপিছু ঋণ ৫০ হাজার-এক লাখ টাকা। কত বছরে এ ঋণ পরিশোধ হবে? আমরা জানতে চাই।
তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসবে। ভারতে উদ্দেশ্য বলতে চাই- আমরা বন্ধুত্ব চাই, ভালোবাসা চাই, কিন্তু সব কিছু দিয়ে নয়। তিস্তার পানি ছাড়া বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হবে না।
Advertisement
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একরাম হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বদিকে ধরতে পারেন না। বলছেন প্রমাণ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তার কোনো প্রমাণ নেই। এ অবস্থায় সে কিভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায়। মাদক অভিযানে যাদেরকে এখন পর্যন্ত মেরেছেন তাদের তালিকা দেন। পরিবারের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করুন।
মূল বক্তব্যে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, দেশে চরম সংকট ও আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ সংকট একেক সময় একেক রূপে আবির্ভূত হয়েছে। তবে বর্তমানের অনিশ্চয়তা ও সংকট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর হিরু, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের সভাপতি স্বরূপ হাসান শাহীন, সামাজিক শক্তির আহ্বায়ক এমডি হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
এইউএ/এএইচ/এমএস