কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারজন হেডমাস্টারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফলে ঐ বিদ্যালয়ে নানা ধরনের জটিলতায় শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয়টির নাম আদাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রাজনৈতিক নেতাকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনীত করার কারণে বিদ্যালয়ে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।জানা যায়, প্রধান শিক্ষক জুলফিকার রহমানকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুতির চেষ্টা চালায় ম্যানেজিং কমিটি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জুলফিকার রহমান হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। রিট নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দেবার নির্দশনা দেন হাইকোর্ট। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোতাচ্ছিম বিল্লাহ। আবার মোতাচ্ছিম বিল্লাহ কথামত কাজ না করায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম জাকারিয়া অসন্তুষ্ট হন। এ সময় গিয়াসউদ্দিন নামে আরেক শিক্ষককে হেডমাস্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।এরপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গোপনে গত ৫ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক হিসোবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেন হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। আর এর পরিমাণও নাকি ১০ লাখ টাকা।জানা যায়, গত ১০ মে ২০১২ ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে কমিটি গঠন না করে কমিটি অনুমোদন হয়েছে মর্মে শিক্ষা বোর্ডের চিঠি জালিয়াতি করে সাবেক সভাপতিই বহাল আছেন।
Advertisement