রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভের অন্যতম মাধ্যম রোজা। এটা মহান আল্লাহর ঘোষনা। হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন, 'মানুষের প্রতিটি ভালো কাজ নিজের জন্য হয়ে থাকে, কিন্তু রোজা শুধুমাত্র আমার জন্য, অতএব আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।
Advertisement
রোজা পালনে রয়েছে জান্নাত ঘোষণা হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহ আনহু প্রিয়নবিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার কারণে আমি জান্নাতে যেতে পারি। তিনি বললেন, তুমি রোজা পালন কর। কেননা, এর সম-মর্যাদাসম্পন্ন কোনো ইবাদত নেই।' (নাসাঈ)
এ কারণেই রোজাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার মজবুত দূর্গ বলা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'রোজা ঢালস্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার এক মজবুত দুর্গ।' (মুসনাদে আহমাদ)
আরও পড়ুন : রোজা অবস্থায় নাক থেকে রক্ত বের হলে করণীয়
Advertisement
অন্য হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় (শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য) একদিন রোজা রাখে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জাহান্নামে র আগুন থেকে ৭০ (সত্তর) বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তী স্থানে রাখেন।' (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
উল্লিখিত হাদিস থেকে জানা যায়, রোজাদার জাহান্নাম থেকে মুক্ত থাকবে। আর এ কারণেই রমজান হলো জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাতের মাস। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব রোজাদারকে রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন
এমএমএস/এমআরএম/এমএস
Advertisement