খেলাধুলা

খেলোয়োড়দের সঙ্গে কী নিয়ে রাশিয়া যাচ্ছে আর্জেন্টিনা!

ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনা থেকে লিওনেল মেসিরা এসে ক্যাম্প গেঁড়েছে বার্সেলোনায়। রাশিয়া বিশ্বকাপের মহাযুদ্ধে নামার আগে ধীরে ধীরে যেন তারা এগিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধের ময়দানের দিকে। বার্সেলোনায় ক্যাম্প করে সেখানে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত করে নেয়ার কাজটা সেরে নেবে লা আলবিসেলেস্তেরা। এরপরই নামবে গিয়ে যুদ্ধের ময়দান, রাশিয়ায়।

Advertisement

বুয়েন্স আয়ার্স থেকে যে বিমানে করে আর্জেন্টিনা বার্সেলোনায় গেলো, সেই লাক্সারিয়াস বিমানটির আসন সংখ্যা ৩৪০টি। অথচ, বিমানে খেলোয়াড় আর স্টাফ মিলে ছিলেন সর্বোচ্চ ৪০ জন। বাকি সিটগুলো কী তবে খালি গেছে বার্সেলোনায়?

এমনটা ভাবলে ভুল হবে। রাশিয়ায় যুদ্ধের জন্য শুধু সৈনিক (পড়ুন খেলোয়াড়) নিয়ে গেলে তো হবে না। সঙ্গে রসদও লাগবে। ৪০ খেলোয়াড় এবং স্টাফের সঙ্গে সেই বিমানটি ভর্তি ছিল রসদে।

আর্জেন্টাইন একটি মিডিয়ায় হিসাব দেয়া হয়েছে কী কী রসদ নিয়ে রাশিয়া গমন করেছেন মেসি-সাম্পাওলিরা। সেখানে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ৪০ খেলোয়াড় আর তাদের লাগেজই নয়। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন বিমানটি ভর্তি করেছে ৭০০ টি শার্ট, ৬০০ শর্টস, ২০০ জোড়া মোজা, ১০০ জোড়া জুতা, ২০০ ট্রাউজার, ২০০ ডাইভারস, ১০০ জ্যাকেট ছিল।

Advertisement

এগুলো তো ছিল খেলোয়াড়দের ব্যবহৃত তৈজষপত্র। সঙ্গে আরও ছিল ২০০ কেজি ভেষজ ঔষধ, ৬০ ড্রাম পানি (বোতলজাত) এবং সঙ্গে একটি কন্টেইনার। যেটা ছিল পুরো মাংসে পরিপূর্ণ।

অথ্যাৎ, বোঝাই যাচ্ছে, রাশিয়া গিয়ে যেন খেলোয়াড়রা কোনোরকম খাদ্য এবং পানীয় নিয়ে সমস্যায় না পড়ে, সে ব্যবস্থা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। এখন দেখার বিষয়, এই তুমুল পরিমাণ রসদ নিয়ে কতদুর যেতে পারে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

আইএইচএস/পিআর

Advertisement