প্রকাশের আগেই বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি জাতীয় দৈনিক। ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসসহ পাওনা পরিশোধ না করেই বৃহস্পতিবার বিকেলে আকস্মিকভাবে প্রকাশিতব্য দৈনিক ‘আমার দিন’ নামক পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
সারাদিন রোজা রেখে শেষ বিকেলে বিনা নোটিশে আকস্মিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ সময় খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন পলাশ।
নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাশিদুন নবী বাবু ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আহসান হাবিবকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১২টায়ও ডিইউজে নেতারা সেখানে অবস্থান করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমার দিন পত্রিকার একাধিক সাংবাদিক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির মালিক এম এ খালেকের সাথে আসন্ন ঈদের বেতন-বোনাসসহ প্রকাশিতব্য এ দৈনিকটির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের বৈঠক ছিল।
Advertisement
বৈঠক শেষে ফিরে এসে তারা জানান, আজ থেকে মালিকপক্ষ পত্রিকাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করার পূর্বমুহূর্তে এমন খবরে সবাই হতবিহবল হয়ে পড়েন। তারা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে জানান, ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা পর্য়ন্ত তারা দুজন অফিসেই অবরুদ্ধ থাকবেন। খবর শুনে ডিইউজে নেতারাও ছুটে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে অবস্থান গ্রহণ শুরু করেন।
ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য জানান, ডিইউজে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করার ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচনে পাস করেছেন। তাই যেখানে সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব হবে সেখানেই ডিইউজের নেতৃবৃন্দ ছুটে যাচ্ছেন এবং যাবেন।
তিনি বলেন, ঈদের আগে বিনা নোটিশে দেনা-পাওনা পরিশোধ না করে পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত মোটেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি অনতিবিলম্বে ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধের জোর দাবি জানান।
এমইউ/বিএ
Advertisement