কোচিং সেন্টারকে ‘ছায়া শিক্ষা’ বা সহায়ক শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন সংগঠন। এজন্য একটি রেজুলেশন তৈরির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে কোচিং সেন্টার সংগঠনের আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মহাফিলে এমন দাবি করা হয়।
আলোচনায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধিগণ কোচিং সেন্টারের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তারা বলেন, সমাজে কোচিং সেন্টার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এ কারণে নিজেদের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা স্ব-প্রণোদনায় কোচিংয়ে পড়তে আসছে। বছরের বিভিন্ন সময় সরকারি ছুটি উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। এছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধ থাকে। বছরে ১৯০- ২০০ দিন কোনো পাঠদান কার্যক্রম থাকে না। বছরে অন্য দিনগুলোতে নানা ধরনের স্কুল পরীক্ষা লেগেই থাকে। এসব হিসেবে সারা বছরে ক্লাস হয় মাত্র ১১৫-১২৫ দিন। এ অল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না বিধায় ছাত্রছাত্রীদের কোচিং সেন্টারের সহায়তা নিতে হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের উদাহরণ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কোচিং সেন্টার রয়েছে। কোথাও কোথাও সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কোচিং সেন্টার স্বীকৃত। এছাড়া বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেও কোচিং সেন্টার ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয়।
Advertisement
আলোচনা ও ইফতার মহাফিলে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খাঁন (নিখিল), তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল রশীদ, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, সৈয়দ মাহবুবুল হক পলাশ, আবু রায়হান, পলাশ সরকার, মাহবুব আরেফিন প্রমুখ।
এমএইচএম/এমএআর/জেআইএম