বড় দরপতনের মাধ্যমে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস দরপতন হলো।
Advertisement
মূল্য সূচকের পাশাপাশি এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে।
Advertisement
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের ১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- লিগাসি ফুটওয়্যার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, গ্রামীণ ফোন, মুন্নু সিরামিক, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, বার্জার এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১২১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
Advertisement
এমএএস/এমআরএম/জেআইএম