রোজায় এসিডিটির কারণে ভুগতে হয় অনেককেই। যখন বুক, গলা জ্বলবে এবং গ্যাস ফর্ম হবে বুঝতে হবে এসিডিটি হচ্ছে। আমাদের পাকস্থলী পরিপাক প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে। আর এসিডিটি তখনই হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি এসিড নিঃসরণ হয়। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস আর স্বাস্থ্যকর খাবার এসিডিটি থেকে মুক্তির প্রধান উপায়। ধুমপান আর আলকোহল পরিহার করুন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ এসিডিটির অন্যতম কারণ। সময় থাকতেই এসিডিটির প্রতি সচেতন হন। এসিডিটির জন্য দামী দামী ওষুধ কেনার দরকার নাই, কিছু সাধারণ উপাদান যা আমাদের রান্না ঘরেই পাওয়া যায় তা দিয়েই এসিডিটি দূর করতে পারবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: রোজায় আনারস কেন খাবেন
পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে এসিডিটির সমস্যাও সমাধান করে দেয় ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা। এক আউন্স ঘৃতকুমারীর রসের সাথে ২ আউন্স পানি মিশিয়ে পান করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে তা পরিপাক তন্ত্রের ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে। ডিম, কড লিভার অয়েল, দুধ, মাছ ভিটামিন ডি এর উৎস।
Advertisement
প্রসেসড ফুড যেমন- চিপস, কুকিজ, পিজ্জা পরিপাক তন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ভারসম্যের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই এসিডিটি তাড়াতে প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন এবং তাজা সবজি এবং ফলমুল খান।
এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন আর মুহূর্তেই চনমনে হয়ে উঠুন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা যাদের সোডিয়াম খাওয়া মানা আছে তারা এই পদ্ধতি মানতে যাবেন না যেন।
ভাজাভুজির সাথে শসার সালাদ খেয়ে দেখুন এসিডিটি আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে।
আদা পাচনতন্ত্রকে ঠান্ডা করে। আদা সকল প্রকার পেটের পীড়া, গ্যাস প্রতিরোধক। এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে এক কাপ গরম পানিতে হাফ চা চামচ আদা কুঁচি মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।
Advertisement
আরও পড়ুন: কখন বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের অভাব?
দারুচিনি ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হলে সে পানিটুকু খেয়ে নিন।
এইচএন/আরআইপি