প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। তিনি বলেন, তামাক সেবনের কোনো সুফল নেই- মানুষের কাছে এই বার্তা নিয়ে যেতে হবে। এজন্য সরকার, বেসরকারি সংগঠনসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
Advertisement
আগামীকাল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক করে হৃদপিণ্ডের ক্ষয় : স্বাস্থ্যকে ভালোবাসি, তামাককে নয়। শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজন একটি সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠী। এজন্য আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়। তামাকজাত দ্রব্য সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি।
তিনি বলেন, তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধকে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি প্রণয়ন করেছে। জাতিসংঘ এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তামাকের ভয়াল থাবা থেকে সকলকে রক্ষা করতে ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধি জারি করেছে। আমরা ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়মূল্যের ওপর ১% হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করেছি।
Advertisement
তিনি বলেন, সারচার্জ হিসেবে সংগৃহীত অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ২০১৭’ অনুমোদন করা হয়েছে। শিশুদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি ও এ কর কাঠামোকে সহজ করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। বাণীতে তিনি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এফএইচএস/ওআর/বিএ