দেশজুড়ে

দাগনভূঞায় নতুন করে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দাগনভূঞায় নতুন করে আরো ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৭০টি গ্রাম। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানভাসী মানুষদের।এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানা গেছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওষুধের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন বন্যার পানি থাকায় নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রামনগর ইউনিয়নের শেকান্তরপুর, রামনগর; ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বাদামতলির আশ্রয়ন প্রকল্পের ৬০ পরিবার, দেবরামপুর, ইয়াকুবপুর, চন্ডিপুর, চানপুর, এনায়েত নগর, করম উল্যাহপুর; সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুর, রশিদপুর, হায়াতপুর, ফতেহপুর, ফতেহ উল্যাহপুর, বাসুদেব পুর, শ্রী ধরপুর, দক্ষিণ আলীপুর, বাগঢুবি, দক্ষিণ করিমপুর, তালতলি; পৌরসভার উত্তর শ্রী ধরপুর, রামানন্দপুর, উত্তর করিমপুর, আলাইয়াপুর; পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চানপুর, কেরোনিয়া, শেয়াসন এলাকা, গজারিয়া; মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর, উত্তর আলীপুর, লালপুর এবং জয়লাস্করা ইউনিয়নের ওমরপুর, খুশিপুর, সোনাপুর, বারাহিগুনি, জায়লস্কর গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।এর আগে দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের শরীফপুর, কৈখালী, নারায়ণপুর, গৌতমখালী, দিলপুর, নশরতপুর; রাজাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়ণপুর, রাজাপুর বাজার, সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর, জগতপুর, ফাজিলেরঘাট বাজার; মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর, আশ্রাফপুর, সালামনগর; জয়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর লালপুর, ধর্মপুর, মাছিমপুর, আলমপুর, বারাহিগুণী, উত্তর জায়লস্কর এবং দাগনভূঞা পৌরসভার আলাইয়াপুর, উদরাজপুর, আমানউল্যাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়।এতে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়ক ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৫৩০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা। অধিকাংশ গ্রামের মানুষ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। এতে করে এদিকে গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থরা সেই সঙ্গে পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি রান্নাঘর ও শৌচাগার পানিতে ভেসে যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বানভাসী মানুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) জামশেদ খোন্দকার বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৩০ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।জহিরুল হক মিলু/এসএস/এমআরআই

Advertisement