বিনোদন

শেষ পর্যন্ত ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ভাইজান ও সুলতান

শাকিব খান অভিনীত ‘ভাইজান এলো রে’ ও জিৎ অভিনীত ‘সুলতান’ ঈদে বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছিল। দুটি ছবিতেই দেশিও তারাকারা অভিনয় করেলেও ছবিদুটি ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে। সেই হিসেবে দুটি ছবিই বিদেশী। সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি করে এই দেশের হলে মুক্তি দিতে হবে। ২০১৬ সালের ঈদুল ফিতরে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। না এবার আর সেই পথ খোলা নেই। শেষ পর্যন্ত ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ভাইজান ও সুলতান।

Advertisement

ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, পূজা ও পহেলা বৈশাখের সময় যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ছাড়া ভারতীয় বাংলা, হিন্দি, পাকিস্তানিসহ বাইরের দেশের যে কোনো চলচ্চিত্র দেশে আমদানি, প্রদর্শন ও বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ। হাইকোটের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ভাইজান ও সুলতান দুটি ছবিই ভারতীয়, অর্থাৎ বিদেশি ছবি। তাই হাইকোটের আদেশ বলছে ঈদে মুক্তি পাবে না এই ছবি।

আদালতে নীপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হক কিউসি। সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার এম মনিরুজ্জামান আসাদ। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন।

পরে এম মনিরুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনের ফলে দেশি সিনেমায় দর্শক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নীপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগম সংক্ষুব্ধ হয়ে একটি রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে যৌথ প্রযোজনাসহ সব বিদেশি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, এরপর সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন জানায় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি মো. ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। আদালত ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ কিছুটা মোডিফাই করেছেন। এর ফলে দেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি চলতে বাধা নেই। তবে, আমদানি করা সিনেমা প্রদর্শণে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে।

প্রসঙ্গত, নীপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগমের এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ মে হাইকোর্ট দেশে যৌথ প্রযোজনাসহ সকল প্রকার বিদেশি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। হাইকোটের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বযে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন চেম্বারজজ আদালতে। আবেদন শুনানির জন্য চেম্বার আদালত আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। আজ ওই আবেদনটি শুনানি করে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এমএবি/এলএ/আরআইপি

Advertisement