দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। আর অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদ মৌসুমে এ ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুন যা সামাল দিতে হিমশিম খান ঘাট কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাই এবারের ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএ।
Advertisement
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে লঞ্চ-ফেরি সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকরণ, দৌলতদিয়া ঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ঈদের আগে ও পরে যাত্রীদের পারাপারের জন্য দৌলতদিয়ায় ৬টি ফেরিঘাট দিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করবে। এসময় র্যাবের ১টি ও পুলিশের ৫টি অস্থায়ী ক্যাম্পসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করবে ট্রাফিক পুলিশ। যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপশি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে সিরিয়ালে পারাপার করা হবে। এছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যাত্রী পারাপারে ১৯টি ও দৌলতদিয়া-আরিচা রুটে ৩টি লঞ্চ চলাচল করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ার আগে নতুন ২ ঘাটের পন্টুল ঠিক করা হবে এবং বহরে ২০টি ফেরি যুক্ত হবে। ফেরি, লঞ্চ, বাস, মাহেন্দ্রসহ অন্যান্য যানবাহনে ঘরমুখো যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরসারি কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটিং, টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি।
Advertisement
সভায় জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আসামা সিদ্দিকা মিলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. ছাদেকুর রহমান, সদর পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদুপর র্যাব-৮ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদ্দাম হোসেন ও দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট সুপার ভাইজার মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস