রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো সময় নির্বাচন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। তিনি প্রয়োজন মনে করলে তা করতে পারেন। তবে দলীয় বা ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোন কথা হয়নি বলে জানান তিনি। শনিবার (১ আগস্ট) জাতীয় শোকের মাসের প্রথমদিন বেলা আড়াইটায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আগাম নির্বাচন সর্ম্পকে বিএনপি ও অন্যান্য দলের দাবি সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।তিনি আরো বলেন, কোন দলের নির্বচন বয়কট করা ঠিক নয়। বঙ্গবন্ধু কখনো নির্বাচন বয়কটের পক্ষে ছিলেন না। জিয়াউর রহমনের সময় সময় আওয়ামী লীগ নির্বচনে অংশ নিয়েছিল। অনেক সময় পরাজয় নিশ্চিত জেনেও নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। বিএনপি নির্বচনে না এস ভুল করেছিল। ৫ বছর পর সংবিধান অনুযায়ী সকলের অংশ গ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে বিএনপি না আসলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে তখন তা প্রমাণিত হবে। ১৫ আগস্ট বিএনপি-নেত্রীর জন্মদিন পালনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমি এ ব্যাপারে বিএনপি নেত্রীকে অনুরোধ করে বলেছি, ওই দিন যদি সত্যিও আপনার জন্মদিন হয়ে থাকে-তারপরও আপনি তা খেকে বিরত থাকুন। শোকের দিনে এটা মানবিক নয়। প্রয়োজনে এক দিন বা দুই দিন পরে করুন। আর তিনি যদি বিষয়টি গুরুত্ব না দেন তা- হবে অমানবিক এবং দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।  তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার বিশেষভাবে বিশেষ মর্যাদায় জাতির জনকের শাহদাৎ বার্ষিকী পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরা দেশে দলীয় নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। তিনি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। এর আগে বেলা সোয়া ১২ টায় সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধ নিবেদন করেন। পরে নেতৃবৃন্দ ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।এসময় শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফাযেল আহমেদ , কৃষিমন্ত্রী মাতয়া চেীধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খান, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চেীধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. ইফসুফ হোসেন হুমায়ূন, সায়ারা খাতুন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পদক বাহাউদ্দিন নাসিম, এমপি, নাসিম, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বিএম মোজাম্মেল হোসেন এমপি,  সাঈদ আল মাহমুদি স্বপন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংসদের হুইপ ইশবালুর রহিম, ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম এমপি, মুকুল বোস, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, শাহ আলম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সামসুল হক টুকু, আব্দুল মান্নান, এস এম কামাল, মিজানুর রহমান মিজান এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাওসার, যুবলাগ নেতা শেখ ফজলে ফাহিম, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল এমপি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।পরে বাদ জোহর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  এর আগে কেন্দ্রীয় যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, প্রজন্মলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে সমাধি সৌধ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার  নেতা-কর্মী ও মুজিব ভক্তরা সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স অঙ্গণে সমবেত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এসময় সকলকে কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। এস এম হুমায়ূন কবীর/এসএইচএস/এমআরআই

Advertisement