কথায় আছে- প্রেম অন্ধ। যিনি প্রেমে পড়েন, যুক্তি-তর্কের ধার তিনি ধারেন না। এটি সত্যি কথা যে যুক্তি দিয়ে প্রেম হয় না। তবে প্রেম মানে যেন শুধু আবেগের স্রোতে ভেসে যাওয়া না হয়। প্রেম মানে যদি হয় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একটি জীবন কাটিয়ে দেয়ার স্বপ্ন- তবে সেই প্রেমই সার্থক ও সুন্দর। প্রেমের পূর্ণতা মেলে পরিণয়ে। আর বিয়ের পরে অবধারিতভাবেই আসে কিছু পরিবর্তন। তখন আগেকার চেনা মানুষটির অনেককিছুই অচেনা মনে হতে পারে। তাই যে মেয়েটির সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জেনে নিন জীবনসঙ্গী হিসেবে তিনি কেমন হবেন-
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রেমে স্বার্থপর হবেন যে কারণে
বিশ্বাসসবার আগে বুঝতে পারা জরুরি, তিনি আপনাকে কতটা বিশ্বাস করেন। ভালোবাসা পরিমাপ করা না গেলেও বিশ্বাসের মাত্রা কিন্তু বোঝা যায়ই। যদি সে আপনাকে একটুতেই অবিশ্বাস করে, যখন তখন সন্দেহ করে বসে অথবা কথায় কথায় আপনার অতীতের কোনো ভুল নিয়ে খোটা দেয় তাহলে জেনে নিন, তার ভালোবাসায় বিশ্বাসের ভিত বড় নড়বড়ে। আর এমন বিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠা ভালোবাসা পলকা হাওয়া এলেই ভেঙে যেতে পারে। তাই জীবনসঙ্গী হওয়ার আগে তার বিশ্বাসের ভিত শক্ত হয় এমন কিছু করুন।
আত্মনির্ভরশীলএদেশের বেশিরভাগ মেয়েই পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হতে ভালোবাসে। ছোটবেলা থেকে তারা এমন শিক্ষা পেয়েই বড় হয়। তাই দোষটা পুরোপুরি তাদেরও নয়। তবে এখন সময় অনেকটা বদলেছে। মেয়েরাও অনেক সাহসী কাজ করছেন অবলীলায়। তাই খেয়াল করুন, আপনার প্রেমিকা কতটা আত্মনির্ভরশীল। সে যদি সব সময় আপনার ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় তবে তা আপনার জন্য অতিরিক্ত পিছুটানের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
Advertisement
বন্ধনতিনি পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনকে কতটা গুরুত্ব দেন? শুধু আপনার পরিবার নয়, খেয়াল করুন সে তার পরিবারের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল। নিজের পরিবারকে যে ভালোবাসে, সে অন্য পরিবারের ভালোবাসার প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হবে। এবং পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই শিক্ষাই দেবে।
মনযোগীতিনি আপনার প্রতি কতটা যত্নশীল? আপনার সুসময় কিংবা দুঃসময়ে ঠিক ঠিক পাশে পাচ্ছেন তো? নাকি শুধু ভালো সময়ে পাশে থেকে খারাপ সময়ে এড়িয়ে চলছে? এমনটা হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখুন।
সম্মানতিনি আপনাকে কতটা সম্মান করেন? সম্পর্ক বেঁচে থাকে পরস্পরের প্রতি সম্মানের কারণেই। যদি সে আপনাকে গুরুত্বহীন বলে ভাবে বা আপনার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে তবে নিজের দিকটাও একটু ভাবুন। আত্মসম্মান না থাকলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যায়।
দায়িত্বশীলআপনার গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো সিদ্ধান্তে তার মতামত থাকে কি? নাকি যা ইচ্ছা করুক- এমন ভাব নিয়ে দূরে সরে থাকে? সম্পর্কে সবচেয়ে জরুরি হলো মানসিক সমর্থন। খেয়াল করে দেখুন সেক্ষেত্রে তিনি কতটা দায়িত্বশীল।
Advertisement
আরও পড়ুন: ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের যে বিষয়গুলো খেয়াল করে
একজন মানুষ কখনোই শতভাগ আপনার মনের মতো হবে না। ভুল-ত্রুটি মিলিয়েই মানুষ। আপনার অনেককিছুই তার পছন্দ নাও হতে পারে। দুই পক্ষ থেকেই টুকটাক ছাড় দিলে সম্পর্কটা সতেজ থাকে। কোনো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ার ভয় থাকলে তার সঙ্গে সে বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। দেখবেন, অনেকটাই সমাধান হয়ে গিয়েছে। আর দিনশেষে চেষ্টা করুন প্রিয়তমার হাতটি ধরে রাখার। ভালোবাসার মানুষ বলে কথা!
এইচএন/এমএস