আন্তর্জাতিক

হামাসের প্রতিরোধের জবাবে ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের ২৭টি মর্টার শেল নিক্ষেপকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজা এবং ইসরায়েলি সীমান্ত। হামাসের হামলার জবাবে অধিকৃত গাজার অন্তত ৩০টি আস্তানায় বিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

Advertisement

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, মঙ্গলবারে হামাসের এই হামলা ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিকে ছাড়িয়ে গেছে। কারণ একদিনে এতসংখ্যক মর্টার শেল ওই যুদ্ধের সময়ও নিক্ষেপ করেনি হামাস।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা ছিটমহলে ৩০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা বিমান হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলে রকেট ও মর্টার শেল হামলা হওয়ার পর সেনাবাহিনী এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, মর্টার শেলের আঘাতে অন্তত তিন ইসরায়েলি আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের হতাহতের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

Advertisement

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের মর্টার হামলার জবাব 'ব্যাপক শক্তিপ্রয়োগে'র মাধ্যমে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।

গত ১৪ মে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনায় গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এসময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও টিয়ারসেলে অন্তত ১১০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটে। এ সংঘাতে আড়াই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।

ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডকে ‘দস্যুপনা, নৃশংস গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে গত ১৮ মে মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন তিনি।

ওই বৈঠকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং দেশটিকে মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান।

Advertisement

এসআইএস/এমএস