জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ‘সুইসাইড ট্র্যাপ’

‘ইলেকট্রিক পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে ‘সুইসাইড ট্র্যাপ’। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প একটি বড় ট্যাবলেট। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তারা এ কথা বলেন। ‘ইলেকট্রিক পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আই ই ই ই পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সাইফুর রহমান পি এইচডি। সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সেমিরারে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন, এস এম আকরাম, বিডি রহমতুল্লাহ, ড এ হাছিব চৌধুরী প্রমুখ।

Advertisement

প্রফেসর সাইফুর রহমান বলেন, সরকার ভারত থেকে এখন বিদ্যুৎ আনছে। আগামীতে নেপাল ভুটান থেকেও তারা বিদ্যুৎ আনতে চায়। বিদ্যুৎ এমন একটি জিনিস যে এটাতে কখনই পরনির্ভরশীল হতে নেই। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প একটি বিশাল ব্যয় বহুল প্রকল্প। এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য কখনই ভালো কিছু দিতে পারবে না। ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পই নয়। আরও অনেক সমস্যা আছে। সেসব প্রকল্প মানুষের ও পরিবেশের ক্ষতি করে সেসব প্রকল্প না নেয়াই ভালো। তিনি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করেন।

এছাড়া বাতাস, নদী, পানি পশুর মলমূত্র থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সরকার সেসব দিকে যেতে পারে। বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প একটি বড় ট্যাবলেট। কারণ পারমাণবিক নিউক্লিয়ার্সের বর্জ্য এত ভয়াবহ যে মানুষ ও পশু পাখির স্বাস্থ্যহানি হবেই। এস এম আকরাম বলেন, রূপপুর পাওয়ার প্লান্ট চালু হওয়াই আগেই এটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা পয়সা কামানোর জন্য এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়। এক সময় তারা ক্ষমতা থেকে চলে যাবে কিন্তু পরবর্তীতে যারা আসবে তাদের সমস্যায় ফেলবে এসব প্রকল্প। বুয়েটের প্রফেসর ড. এ হাছিব বলেন, পারমাণবিক নিউক্লিয়ার্স পাওয়ার প্লান্ট করা হলে তার চারপাশে ৩০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে লোক বসবাস করতে পারবে না। সমুদ্র তীরবর্তী, ফ্লোটিং বা সেমি ফ্লোটিং এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প করলে ভালো হয়। এছাড়া এ ধরনের প্রকল্প সিকিউট কি-না সেটাও দেখতে হবে। এফএইচএস/এমআরএম/এমএস

Advertisement