জাতীয়

কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি হচ্ছে খাদ্যশক্তি, প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির মূল উৎস যা অদ্বিতীয় ও আন্তঃসংযুক্ত। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে কৃষিতে কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জৈব কীটনাশকের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘রিজিওনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম অন ইন্ট্রিগ্রেটেড পোস্ট ম্যানেজমেন্ট ইন সার্ক মেম্বারস স্টেটস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পন্ন দেশ হয়ে উঠেছে। এখন সরকার বর্তমানে টেকসই ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সিনথেটিক রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার হতো। ফলে অনেক উপকারী কীটপতঙ্গ ধ্বংসসহ সামগ্রিক উৎপান ব্যয় বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য ইন্টিগ্রেটেড কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরই) ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফসলের ধ্বংসাত্মক কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন জৈব-যৌক্তিক কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার কৌশল গড়ে তুলেছে।

Advertisement

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক, উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার শক্তিশালী করেছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়াসহ ইতোমধ্যে চাল রফতানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্যে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি প্রদান করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করেছে। যখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় আসেন, তখন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয় বলেও জানান তিনি।

এমইউএইচ/এমএআর/এমএস