রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সব মহাসড়কের যথাযথ সংস্কার ও প্রশস্তকরণে আলাদা আলাদা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের এই ৫ অঞ্চলের সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নে নেয়া হলো এ মেগা প্রকল্প।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ) সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় মোট ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী অা হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল অালম প্রমুখ।
মেগা প্রকল্পের মধ্যে রাজশাহী জোনে ৭৬৭ কোটি টাকা, রংপুরে ৬৫৪ কোটি, খুলনায় ৭৫৬ কোটি, চট্টগ্রামে ৬৫২ কোটি এবং সিলেট জোনে ৫৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাঁচ জোনে সড়কগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত ও নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কগুলোকে যাতায়াতের উপযোগী করতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এই ৫ অঞ্চলের সব মহাসড়ক নেটওয়ার্কের মান উন্নয়ন, নিরাপদ, অারামদায়ক, সময় এবং ব্যয় সাশ্রয়ী করা হবে।
পদ্মা সেতুর রেললাইনে যুক্ত হচ্ছে মধুখালী-মাগুরা
ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাগুরা জেলায় বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপন করতেই এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ রেলপথ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।প্রায় ৪৬ বছর আগে ফরিদপুর মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথ ছিল। কিন্তু এটা এখন আর ব্যবহার হয় না। তবে কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত কোনো রেলপথ নেই। প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথটি সংস্কার করে ব্রডগেজ এবং কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে।
Advertisement
১৩ প্রকল্প অনুমোদন
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন হবে ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এমএ/জেডএ/এমএস