খেলাধুলা

স্ত্রী-গার্লফ্রেন্ডের কাছে ঘেঁষতে মানা জার্মান খেলোয়াড়দের

লক্ষ্য বিশ্বকাপ। এজন্য খেলোয়াড়দের উপর যে কোনো ধরণের কঠোরতা আরোপ করতে রাজি জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। আগেভাগেই তিনি যেমন জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপ চলার সময় তার দলের ফুটবলাররা স্ত্রী-সন্তান কিংবা গার্লফ্রেন্ডের কাছে ঘেঁষতে পারবেন না। তবে শোবার আগে অ্যালকোহল পানে আপত্তি নেই লো'র।

Advertisement

বিশ্বকাপের সময় কোনো ছাড় নয়। এই সময়ে জোয়াকিম লো'র কাছে আত্মার চাহিদার কোনো দাম নেই। খেলোয়াড়দের সেক্সে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জার্মান কোচের সাফ কথা, ‘আত্মার চেয়ে দল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ইতালিয়ান দৈনিক 'লা গাজেতা দেলো স্পোর্ট' এর এক প্রতিবেদনে এসেছে, জার্মানির খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সময় স্ত্রী, সন্তান আর গার্লফ্রেন্ডকে সঙ্গে রাখতে পারবেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলার সময় পারবেন না।

তবে কি রাতটা একদমই হতাশায় কাটবে খেলোয়াড়দের? না, জোয়াকিম লো তার শিষ্যদের অ্যালকোহন পানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন না। বিশ্বকাপ চলার সময়ও রাতে সেটা পান করতে পারবেন যার ইচ্ছে। কিন্তু স্ত্রী-গার্লফ্রেন্ডের কাছে ঘেঁষা একদমই নয়!

Advertisement

টুর্নামেন্ট চলার সময় হোটেল কিংবা লকার রুম থেকে কোনো ধরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করতে পারবেন না জার্মান খেলোয়াড়রা। যদি এমন কিছুর শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দল থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে থাকবেন সেই খেলোয়াড় কিংবা খেলোয়াড়রা।

দলের কাছে কি চাহিদা সেটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন জোয়াকিম লো। তিনি বলেন, ‘আত্মার চেয়ে দলের গুরুত্ব অনেক বেশি। ছেলেরা আমাদের আচরণগত নির্দেশিকা ভালোমতোই জানে। তারা আমাদের লক্ষ্য জানে, কাজ সম্পর্কেও জানে। আমরা একটা পাজলের অংশ, কেউই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না (পাজল না মেলাতে পারলে)। সবাইকে দলে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আত্মার চাহিদাকে অবশ্যই আটকে রাখতে হবে।’

এমএমআর/পিআর

Advertisement