নির্দেশনা না মানায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারার ক্ষমতা বলে গত রোববার গভর্নর ফজলে কবির এ সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেন।
Advertisement
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, কোনো প্রতিষ্ঠানের রফতানির অর্থ ১২০ দিনের বেশি বকেয়া থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোতি ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলা যায় না। রফতানির অর্থ বকেয়া থাকার পরও ব্যাংকটির স্থানীয় কার্যালয় থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে বিষয়টি ধরা পড়ার পর নিয়ম লঙ্ঘন করে এলসি সুবিধা দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করতে বলা হয়। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো কিছু অবহিত করেনি। যে কারণে ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হলো।
এদিকে জনতা ব্যাংক এক বছরের বেশি সময় রফতানির অর্থ বকেয়া থাকার পরও ঋণের নামে ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। ব্যাংকটির ঢাকার ইমামগঞ্জ শাখা থেকে এ ঋণ দেয়া হয়। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে একক গ্রাহক ঋণসীমাও মানা হয়নি।
এ ঘটনায় ব্যাংকটির আট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। একক গ্রাহকের ঋণসীমা অমান্য করে এননটেক্স নামের স্বল্পপরিচিত আরেক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকটির জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে দেয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আর জনতা ব্যাংকের বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ শাখা থেকে ভুয়া ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির বিপরীতে শত কোটি টাকার ঋণ সৃষ্টি করার তথ্য উঠে এসেছে।
Advertisement
এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল ওই শাখার ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খান আবুল কালাম, এজিএম রথীন্দ্রনাথ ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হানিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এসআই/বিএ