কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলের নেতার্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহামনের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারা কারামুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
কৃষক দলের সভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের এম এ তাহের, তকদির হোসেন মো. জসীম, বগুড়া জেলা বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ইফতারের আগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা, মুক্তি, দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতা করা হয়।
Advertisement
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদেও প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় সরকার। বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে, ২০দলকে বাইরে রেখে তারা নির্বাচন করতে চায়। এটা হলো পরিষ্কার ষড়যন্ত্র। এই নীলনকশার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বারবার এ দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে এটা হতে দেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষ যেভাবে নির্যাতিত, নিপীড়িত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই. যে কাউকে হত্যা করে একটা অপবাদ দিয়ে দেয়, এই অবস্থার মধ্য থেকে, এই স্বৈরাচার অন্ধকার যুগ, অন্যায়, অনাচার-অত্যাচার থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচন এক সুতোয় গাঁথা। অতএব আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। কোনো স্বৈরাচার কোনো দিন আপস করে তার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এমন একটা অবস্থা হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আজকে আইনের মাধ্যমে হবে বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। তাই আগামী দিনে কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ আজ বিক্ষুব্ধ। তারা রাগ, গণঅভ্যুত্থানের জন্য প্রস্তুত আছে। আমাদের বলা হয়, নরম কর্মসূচি দিছি, গরম কর্মসূচি দেয়া প্রয়োজন। সময় যখন হবে ইনশাআল্লাহ কেউ বসে থাকবে না। এদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কোনো নোটিশ দিয়ে, কোনো দিন তারিখ দিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয় না।’
Advertisement
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণ এবার রুখে দাঁড়াবে। আর আমরা জনগণের দল হিসেবে বিএনপি জনগণের সঙ্গে থাকবে। আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই। সেই আন্দোলনের জন্য কৃষক দলের কর্মী ভাইদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি নাও পারি জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে।’
কেএইচ/জেডএ/এমএস