আইন-আদালত

মলদ্বারে সুচ রেখে সেলাই : বিচার চালাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের পর রোগীর মলদ্বারে সুচ রেখে সেলাই করে দেয়ার মামলায় দুই চিকিৎসককে অব্যাহতির আদেশ খারিজ করে, অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

Advertisement

বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গৌতম কুমার রায়।

অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপরোস্কোপিক জেনারেল সার্জন মো. সুরমান আলী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন জি এম জাকির হোসেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত জাগো নিউজকে জানান, দুই চিকিৎসককে মামলার অভিযোগ থেকে ২০১৬ সালে অব্যাহতি দেন নিম্ন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা হলে সেটিও জজ কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। উক্ত রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতির যৌথ বেঞ্চ আদেশ দেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আদেশে নিম্ন আদালতের দুই আদেশ বাতিল করার পাশাপাশি দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ করা হয়েছিল সেসব ধারায় জজ কোর্টে বিচার কাজ শুরু করতে এখন আর বাধা নেই।’

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ মে বেসরকারি এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র (বতর্মানে সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন) আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচারের পর সুচ ভেতরে রেখে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। একই বছরের ৩০ জুন ভারতের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই সুচ বের করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আমিনুল ইসলামের মা দেলোয়ারা বেগম আদালতে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে একই বছরের ৩০ মে।

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট এ মামলার আসামি দুই চিকিৎসককে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৎকালীন মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরী। এ আদেশের বিরুদ্ধে দেলোয়ারা বেগম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। আদালতের আদেশটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তিনি।

Advertisement

এরপর ২০১৬ সালের ৮ মে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলা খারিজ করে দেন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর।

এমআরএম/এইচ/জেআইএম