ক্লাব মৌসুম শেষ করে প্রায় প্রত্যেক দলই শুরু করে দিয়েছে তাদের নিজ নিজ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। বাদ নেই ২০১০ বিশ্বজয়ী স্পেনও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ছয় রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় ছাড়াই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে স্পেন। তবে যেবারই কোন স্প্যানিশ দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে সেবারই আন্তর্জাতিকভাবে খুব বাজে অবস্থায় থাকে স্পেন। বিশ্বকাপ বা যেকোনো আন্তর্জাতিক আসরের আগে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা অথবা অন্য কোন যেকোনো স্প্যানিশ ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে সেবারই স্পেনকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বিশ্বমঞ্চের আসর থেকে।
Advertisement
অনেকটা কাকতালীয় হলেও এটাই সত্যি। ক্লাব পর্যায়ে স্প্যানিশ ক্লাবগুলো ভাল খেলে কখনই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। একমাত্র ১৯৬৪ সালে ঘটে এর ব্যতিক্রম ঘটনা। সেবারই ইউরোপিয়ান কাপের আসরের ফাইনালে পৌঁছেও লা রোজারা জিতে নেয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্সশিপ। যদিও ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হারে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এখন পর্যন্ত যে ১৬ বার কোন স্প্যানিশ ক্লাব ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে পৌঁছেছে ওই ১৯৬৪ বাদে প্রতিবারই হয় গ্রুপ পর্ব নাহয় সর্বোচ্চ কোয়ার্টারে উঠেই বাদ পড়েছে স্পেন। ২০০৮ এ বার্সেলোনাকে সেমিতেই বিদায় করে দেয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর সেবারই ইউরো জিতে নেয় স্পেন। একই ঘটনা ঘটে ২০১০ সালেও, ইন্টারের কাছে হেরে সেমিতে বিদায় বার্সেলোনার। এবারতো বিশ্বকাপই নিজেদের করে নেয় স্পেন। এবার ২০১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ঘোষণা। রিয়ালকে বায়ার্ন মিউনিখ আর বার্সেলোনাকে হারিয়ে ঘরের টিকিট হাতে ধরিয়ে দেয় চেলসি। সেবছরও উজ্জ্বল স্পেনের ট্রফি ক্যাবিনেট, টানা দ্বিতীয় ইউরো জিতে নেয় স্পেন। তবে এরকম অপয়া ঘটনা যেন একমাত্র স্পেনের সাথেই ঘটে থাকে। কেননা ১৯৭৪ সাল যেন পুরোটাই জার্মানদের। ক্লাব পর্যায়ে জার্মান দল বায়ার্ন জেতে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ আর জার্মানি জিতে নেয় বিশ্বকাপ।
এসএস/আরআর/এমএস
Advertisement