* এক্সক্লুসিভ পণ্যের সমাহার* ক্রেতাদের পছন্দের অন্যতম শপিং মল, তবে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি * ভালো জিনিস একটু ভালো দামেই কিনতে হয় : বিক্রেতারা
Advertisement
ভিড় তেমন একটা নেই, তবে দোকানগুলোর প্রস্তুতি বেশ। বাহারি সব ডিজাইন, নিত্যনতুন পণ্যের কালেকশন তাক লাগানোর মতো। সাজানো-গোছানো, থরে থরে রাখা আছে বাহারি নকশার পণ্য। এমন আয়োজনটা বলে দিচ্ছে ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর গুলশানের শপিংমল পুলিশ প্লাজা।
মানসম্মত বিদেশি পোশাক, পার্টি কিংবা ক্যাজুয়াল ড্রেস, জুতা, গহনা, ব্যাগসহ বাহারি সব কালেকশন থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম এই শপিং মল। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এ শপিংমলে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি।
এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন তারা। এখনকার অনেক পণ্যই বিদেশি। তাই চড়া মূল্য হলেও মান ভালো বলে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ক্রেতারা।
Advertisement
বিক্রেতারা জানান, এখন দুপুরের ও ইফতারির পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে ৪-৫ দিনের মধ্যে বেচাকেনা এবং ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়বে। আর তিনদিন পর নতুন মাস। তখন চাকরিজীবীরা বেতন পাবেন। সেইসঙ্গে ঈদের বেচাবিক্রি বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
পুলিশ প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে, এখানে মূলত পোশাক, জুতা, ব্যাগ, কসমেটিক, ঘড়ি ও গহনাসহ ঘর সাজানোর উপকরণ কিনতে বেশি ভিড় করছেন ক্রেতারা। এমন ক্রেতাদের মধ্যে একজন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা। সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটায়।
আলাপ হয় রেবেকা সুলতানার সঙ্গে। বলেন, এখানে এক্সক্লুসিভ কিছু কালেকশন পাওয়া যায়, এ ছাড়া পণ্যের মান ভালো হওয়ায় এখানে ক্রেতাদের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। বিশেষ করে পোশাক, গহনা, জুতা, ব্যাগ, বাচ্চাদের ড্রেস, ঘরের সাজসজ্জার কালেকশন এখানে অন্য সব জায়গার চেয়ে আলাদা।
‘তবে এক্সক্লুসিভ ও মানসম্মত পণ্যের কালেকশন এখানে পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু তুলনামূলক দাম কিছুটা বেশি’,- বলেন রেবেকা সুলতানা।
Advertisement
আরেক ক্রেতা লিংকন আক্তার। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে রামপুরা থেকে এসেছেন। লিংকন আক্তার বলেন, এই মার্কেটে বাচ্চাদের পোশাকের কালেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার মতো। তাই দুই বাচ্চার জন্য কেনাকাটায় এখানে এসেছি। মেয়েদের ড্রেসেরও গর্জিয়াস কালেকশন পাওয়া যায়, তবে দাম কিছুটা বেশি।
ঈদের কেনাকাটা ও পণ্যের কালেকশন নিয়ে কথা হয় শপিংমলটির স্মাটেক্স ফ্যাশনের ম্যানেজার নূরনবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আমাদের এখানে প্রচুর এক্সক্লুসিভ কালেকশন রয়েছে। শুধু আমরা নই, পুরো শপিংমলটাই সেজেছে ঈদের আয়োজনে। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। তবে ঈদের কেনাকাটা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। নতুন মাসে চাকরিজীবীরা বেতন তোলার পরই জমজমাট হয়ে উঠবে শপিংমলটি।’
‘পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি’ ক্রেতাদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘এখানকার বেশির ভাগ পণ্য বিদেশি এবং খুবই ভালো মানের। তাই পণ্যের বিচারে খুব বেশি দাম রাখা হয় না। ভালো জিনিস একটু ভালো দামেই কিনতে হয়।’
পুলিশ প্লাজার বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঈদের নানা কালেকশনের পণ্যের দরদাম সম্পর্কে জানা গেল। এখানে মেয়েদের ড্রেসের মধ্যে টিউনিক, লং টিউনিক, গাউন, আনস্টিজ থ্রি পিচ, সিঙ্গেল কুর্তি বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। পাঞ্জাবি দেড় থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যাগ বার শ থেকে তিন হাজার টাকায়, জুতা এক থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এই শপিংমলে শিশুদের জন্য লেহেঙ্গা, লং ফর্গ, টপস, গাউনসহ নানা নকশার পোশাক দুই থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া অর্নামেন্সের দোকানগুলোতে কানের দুল, ব্রাইডাল সেট, ফ্যাশন সেটসহ নানা ডিজাইনের গহনা পাওয়া যাচ্ছে চার শ থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
এএস/জেডএ/এমএস