সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত ভ্যান আর নসিমনকে। তবে মহাসড়কে পুলিশের তৎপরতা শুরু হলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নসিমন ও ভ্যান চলাচল সীমিত হয়ে আসে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনা কমাতে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে মহাসড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। শনিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য সকালে মহাসড়কে তদারকি করতে দেরি হওয়াসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা আইনকে ফাঁকি দিয়ে কোনো কোনো স্থানে তাদের যানবাহন চলাচল করেছে। তবে মহাসড়কে পুলিশ টহল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা সটকে পড়েছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থেকে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আশরাফ বলেন, তাদের অটোরিকশায় গ্যাস রিফিলের জন্য মহাসড়ক দিয়েই শাহজাদপুর বা সিরাজগঞ্জের পাম্পে যেতে হয়। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় তাদের মহাসড়ক দিয়েই পাম্পে যেতে হয়। যদি পাম্পে না যেতে পারেন তবে অটোরিকশা বন্ধ রাখা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। একই এলাকার সিএনজি চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ সিএনজিই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। হঠাৎ করে মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করায় তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় চলাচলকারী বাসের ড্রাইভার মিজান উদ্দিন বলেন, যত্রতত্র সিএনজি ও ব্যাটারচিালিত গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করলে তাদের খুবই সমস্যা হয়। যে কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে অহরহ। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানালেন।কড্ডার মোড়ে বাস যাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের জন্য পৃথক রাস্তা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে দুর্ঘটনা কমবে না। একই সড়ক দিয়ে বাস ও সিএনজি চলাচল করায় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সিএনজি বন্ধ থাকার সুযোগে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। হাটিকুমরুল সিএনজিজালিত মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, বাসের মালিক ও শ্রমিকেরা দুর্ঘটনার জন্য সিএনজি চলাচলের উপর যে যুক্তি দিয়েছে তা সঠিক নয়। সিএনজি অটোরিকশা মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য একক কারণ নয়। নূন্যতম বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে সরকার বৈধ এ যানবাহন মহাসড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে হাজার মালিক শ্রমিক তাদের পরিবার নিয়ে পথে বসবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই আলোচনা করে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম এমদাদুল হক বলেন, সরকারি ঘোষণার পর পরই থ্রি-হুইলাসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মহাসড়কে চলাচলের ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ মহাসড়কে টহল জোরদার করেছে। একই সঙ্গে মহাসড়কে ম্যাজিস্ট্রেটের দলও কাজ করছেন। যদি কেউ নির্দেশ না মানে তবে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।বাদল ভৌমিক/এসএস/এমআরআই
Advertisement