বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আইনের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি বাড়ছে। এজন্য ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বিএসটিআই পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে।
১৯৮৫ সালের বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে নতুন আইনটি আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে বড় কোনো পরিবর্তন নেই, শাস্তিগুলো একটু বাড়ানো হয়েছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আগের আইনে লাইসেন্স ছাড়া কেউ স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ছিল। প্রস্তাবিত আইনে সেটাকে বাড়িয়ে কারাদণ্ড সর্বোচ্চ ২ বছর বা জরিমানা এক লাখ টাকা রাখা হয়েছে। অর্থদণ্ড ২৫ হাজার টাকার নিচে হবে না।’
নিবন্ধন নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান প্রস্তাবিত আইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
শফিউল আলম বলেন, ‘রফতানি নিষিদ্ধ পণ্য সংক্রান্ত লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করার শাস্তি আগে ছিল জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড। নতুন আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড বা ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। আগের আইনে জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।’
‘কতিপয় পণ্য বিক্রয়, বিতরণ, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘনের শাস্তি ৪ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। আগে এই শাস্তি ছিল ৪ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা ছিল ৭ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ড।’
Advertisement
প্রস্তাবিত আইনে অন্যান্য অপরাধের দণ্ড নামে একটি ধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো বিষয় আইনে সুনির্দিষ্টভাবে যদি না আসে তবে সেই বিষয়ে এই ধারার আলোকে বিচার করা যাবে। এই ধারায় অপরাধের জন্য শাস্তি ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা। আগেও এই ধারা ছিল, সেখানে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।’
এই আইনের অধীনে কেউ একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ শাস্তি পেতে হবে বলেও জানান শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘আইনের সাধারণ অপরাধগুলোর বিচার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হবে, দ্বিতীয়বারের অপরাধের বিচার হবে দায়রা আদালতে।’
খসড়া আইনে আপিলের বিধান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয় তবে আদেশ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে বা সরকারের দেয়া অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে সরকারের কাছে আপিল করা যাবে।’
আরএমএম/এনএফ/পিআর/এমএস