‘একটা কাপড় কিনার জন্য আমাকে ৩শ’ ট্যাকা দিলো আর সেই ট্যাকা থাবা মেরে নিয়া গেল এক খারাপ পোলাই। রোজা রমজানের দিন মাইনসে দিবো কি আরও গরিবের ট্যাকা নিয়া গেল। ঘুরে ঘুরে যাও পয়সা তুলতাম ভয়ে তাও পারছি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ভিক্ষুক সুন্দরি বেগম (৭৫)।
Advertisement
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর বাজারের আশকবর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে সওদাগর পাড়ার সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। পরে মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এসে কষ্টের কথাগুলো বর্ণনা করেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন আশকবর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে ভিক্ষা করছিলেন সুন্দরি বেগম। এক ব্যক্তি তাকে কাপড় কেনার জন্য ৩শ’ টাকা দেন। সুন্দুরি বেগম ওই টাকা হাতে নিয়ে মোনাজাত শেষে তার ব্যাগে রাখছিলেন এমন সময় মৃত হাজু সওদাগরের ছেলে মাদকসেবী আল আমিন থাবা দিয়ে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুন্দরি বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে সান্ত্বনা দেন।
সুন্দরি বেগমের বাবার বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া গ্রামে। একই ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। স্বামী মারা যাওয়ার পর পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার দশীরা গ্রামের রজব আলীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীও মারা গেলে মহেড়া গ্রামে ভাই আশোক আলীর পরিবারে থেকে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বয়স ৭৫ বছর হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি কোনো বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড।
Advertisement
মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সুন্দরি বেগম নামে কেউ তার কাছে আসেনি। এলে তার নামে একটি কার্ড করে দেয়া হবে।
এফএ/এমএএস/পিআর