দেশজুড়ে

খুলনায় ভ্যাট পরিশোধ বিষয়ে তদন্ত হবে

ঈদুল ফিতরে খুলনার বিপণী বিতানগুলোতে বিক্রির বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট সঠিকভাবে পরিশোধ হয়েছে কী না তা খাতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহেই মাঠে নামছে ভ্যাট কমিশনারেটের বিশেষ টিম। এই টিমের সদস্যরা বিপণী বিতানগুলোতে পরিদর্শন করে মূসক (মূল্য সংযোজন কর) বা ভ্যাট পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করবে। ভ্যাট আদায়ে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হলেও ঈদ উপলক্ষে ভ্যাট কমিশনারেটের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। ভ্যাট কমিশনারেট দফতর সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০ হাজার ৯৩৫টি। আর চলতি (২০১৫-২০১৬) অর্থবছরে খুলনা বিভাগে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৪-২০১৫) ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৯৩৫ কোটি টাকা। আদায় হয় ৯৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ভ্যাট কমিশনারেট এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে অধিকাংশ বিপণীবিতানেই বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বিক্রি কয়েকগুণ বেশি হয়। বিশেষভাবে পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, প্রসাধনি বিক্রি হয় অনেক বেশি। ভালো ব্যবসা হলেও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে ভ্যাট পরিশোধ করেন না। অনেকে নিয়মিত রাজস্ব পরিশোধ করলেও ঈদে বিক্রি ভালো হয়নি, বাজার ভালো না বা ঠিকমতো মাল ওঠানো যায়নি এসব বলে হিসাবের চেয়ে কম রাজস্ব পরিশোধ করেন। এটি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার একটি অপকৌশল। তবে, ভ্যাট যাতে ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য ভ্যাট কমিশনারেটের পক্ষ থেকে এ পরিদর্শন করা হবে। খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হক জাগো নিউজকে জানান, রাজস্ব আদায়ে বিপণী বিতানগুলোতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়ে থাকে। তবে, ঈদে বিপণী বিতানগুলোতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বিক্রি বেশি হয়। ফলে খুলনা ভ্যাট কমিশনারেট এর একটি বিশেষ টিম আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিপণী বিতানগুলো পরিদর্শন করবে। এ টিম ভ্যাট প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে রাজস্ব ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য খতিয়ে দেখবে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রির সময় ক্রেতাদের ভ্যাট চালান রশিদ দেয় না, আবার অনেক ক্রেতা নেয় না। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ভ্যাট আদায়ে তৎপরতা চালানোর সময় খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহায়তা নেওয়া হয়। খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কেএম অহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ঈদে ব্যবসায়ীরা ভালো বেচাকেনা করলেও, অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা হয়নি হয়নি বলে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভ্যাট ফাঁকি দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আলমগীর হান্নান/এমজেড/আরআইপি

Advertisement