২০১১ সালের আসর থেকে নিয়মিত আইপিএল খেলছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টানা ৬ মৌসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলে চলতি আসরে তিনি যোগ দেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। নতুন দলে এসে প্রথম মৌসুমেই শিরোপার হাতছানি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের সামনে।
Advertisement
তবে আইপিএল শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আগেই রয়েছে সাকিবের। তাও একবার না, প্রাক্তন ক্লাব কলকাতার হয়ে ২ বার খেলেছেন ফাইনালে, ২ বারই জিতেছেন আইপিএল শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার। কলকাতায় নাম লিখিয়ে মাত্র ২য় মৌসুমেই নিজের প্রথম আইপিএল শিরোপা জেতেন সাকিব। দলের শিরোপা জয়ে ৮ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৯১ রান এবং বল হাতে ১২ উইকেট নেন তিনি।
এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৪ সালের আসরে পুনরায় আইপিএল শিরোপা ছোঁয়ার স্বাদ পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। সেবার ব্যাট-বলে রঙিন ছিলেন সাকিব। ১৩ ম্যাচ খেলে ১৪৯.৩৪ স্ট্রাইকরেটে ২২৭ রান করার পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ৬.৬৮ ইকোনমি রেটে নেন ১১টি উইকেট। ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ এর তালিকায় ছিলেন ৬ নম্বরে।
পরের তিন আসরে খুব একটা সফল ছিলেন না সাকিব, সফলতা পায়নি তার দল কলকাতাও। চলতি মৌসুমে হায়দরাবাদ তাকে দলে ভিড়িয়ে নিশ্চয়তা দেয় সব ম্যাচ খেলানোর এবং সাকিব পেয়ে যান নিজের মতো করে খেলার স্বাধীনতা। পরিসংখ্যানের হিসেবে চলতি মৌসুমে সাকিব খুব বেশি ভালো না করলেও, ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় সাকিবের অবদান ছিল অপরিসীম।
Advertisement
এখনো পর্যন্ত চলতি আসরে ১৬ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে করেছেন ২১৬ রান এবং বল হাতে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। আইপিএলের এক আসরে এটিই সাকিবের সর্বোচ্চ উইকেট দখলের রেকর্ড। সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের সাথে দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং আফগান লেগস্পিনার রশিদ খানের দুর্দান্ত অবদানে ফাইনালে পৌঁছেছে হায়দরাবাদ।
রবিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ম্যাচে জিতলে তিন ফাইনালের তিনটিতেই জিতে ‘তিনে তিন’ পূর্ণ হবে সাকিবের। ২০১৬ সালের পর ২য় শিরোপা উঠবে হায়দরাবাদের শোকেসে। পুরো টুর্নামেন্টে দেখানো ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে সাকিবের ‘তিনে তিন’ এবং হায়দরাবাদের ‘দুইয়ে দুই’ অসম্ভব কিছু নয়!
এসএএস/জেআইএম
Advertisement