ফরিদপুরে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত ১২ ঘণ্টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক রোগী। আর আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও শতাধিক রোগী।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে ডায়রিয়ার রোগী প্রতিদিনই আসছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সের রোগীদের নিয়ে স্বজনরা ছুটে আসছেন হাসপাতালে। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মা ও স্বজনরা।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা নূরুন নাহার বেগম জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া অনেক রোগী এখানে সিট না পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে স্বল্প সংখ্যক ডায়রিয়া রোগীর আসন থাকায় রোগীদের ফ্লোরে এবং বারান্দায় রাখা হয়েছে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক রোগী হাসপাতালে সিট না পেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
Advertisement
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গনেশ কুমার আগরওয়াল বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আমাদের সিট সংখ্যা রয়েছে ১৮টি। যা খুবই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, গত দুইদিনে জেলার ও জেলার বাইরে থেকে ডায়রিয়ার প্রচুর রোগী এসেছেন। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সালথা উপজেলার গট্টি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন সালাম শেখ বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ করেই মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বারবার টয়লেটে যেতে হয়। রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। স্যালাইন ও ওষুধ দেয়া হয়েছে। আগের চেয়ে একটু ভালো এখন তিনি।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শেফালী বেগম বলেন, হঠাৎ করেই পেটে ব্যথা। তারপর ডায়রিয়া শুরু হয়। সকালে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। সিট পাইনি তাই মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছি।
Advertisement
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. সৈয়দ ওবায়দুর রহমান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো খাবার বিশেষ করে পানিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের বিষয়ে বেশি করে সচেতন থাকতে হবে। তবেই ডায়রিয়া থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে এটা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।
এএম/এমএস