দরূদ হলো আল্লাহর কাছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর রহমত বর্ষণের দোয়া করা। তাঁর প্রতি অবিরাম শান্তির ধারা অব্যাহত রাখার প্রার্থনা করা। আর রমজান মাসে প্রিয়নবির প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা অন্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি মর্যাদা সম্মান সাওয়াব ও রহমত লাভের উপায়।
Advertisement
মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা স্বয়ং নবির ওপর (দরূদ) রহমত পাঠান এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য (দরূদ) ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবির প্রতি দরূদ পাঠ কর এবং তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৫৬)
আরও পড়ুন > দোয়া কবুলে দরূদ পাঠের গুরুত্ব
উম্মতের মুহাম্মাদির মধ্যে যে ব্যক্তিই দরূদ পাঠ করবে, তার জন্যও অবিরাম রহমত বর্ষণ হবে। হাদিসে পাকের ঘোষণা-
Advertisement
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করে তিনি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে, এর প্রতিদানে আল্লাহ তাআলা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা অনেক মর্যাদার ইবাদত। কুরআনে আয়াত এবং হাদিসে পাকে তা প্রমাণিত।
এমনিতে রমজান মাসের যে কোনো ইবাদত অন্য মাসের ইবাদতের চেয়ে মর্যাদাবান। তাই যারা রমজানে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবেন; নিঃসন্দেহে তারা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি রহমত লাভে ধন্য হবে।
আরও পড়ুন > সর্বোত্তম ও ক্ষুদ্রতম দরূদ
Advertisement
রমজান মাসব্যাপী প্রিয়নবির প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করে অগণিত সাওয়াব ও রহমত লাভে এগিয়ে আসা আশেকে রাসুল, মুমিন-মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করার তাওফিক দান করুন। বেশি বেশি দরূদ ও সালামের বিনিময়ে সাওয়াব ও রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম