দেশজুড়ে

লামায় পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানের লামা উপজেলার হাসপাতাল পাড়ায় পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ এ দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। শনিবার ভোর রাতে লামা সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে ।নিহতরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন (৪), সাগর আহমেদ (১৭), রোজিনা আক্তার (২৫), আমেনা বেগম (২৬)। এ ঘটনায় আহত দুলু মিঞা (৭০) , জয়তুন বেগম (৬৫),আরাফাত (১৫) নামে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ।এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধসে পড়া মাটি সরিয়ে বশির আহমদ (৫০) এবং ফাতেমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধার কর্মীরা । মরদেহ উদ্ধারের পরেইউদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা ।স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে লামা সদর ইউনিয়নে এক নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ায় হঠাৎ তিনটি বাড়িতে পাহাড় থেকে মাটি ধসেপড়ে। এ সময় তিনটি বাড়ির সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো। পরে দমকল বাহিনী ও সেনাবহিনীর সদস্যরা ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরিয়ে তিনজনকে আহত ও ছয়জনকে মৃতঅবস্থায় উদ্ধার করে।আরো জানা যায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্ল মার্মা, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ, লামা পৌরসভার মেয়র আমির হোসেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম, লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ভোররাতে হঠাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে মাটি ধসে পাঁচজন চাপা পড়েলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া তিনি বলেন, উপজেলায় বন্যা প্লাবিত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে ।বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা জানান, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে  ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।প্রসঙ্গত, পাহাড় ধসে ২০০৬ সালে জেলা সদরে মারা যান তিনজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচজন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দুইজন, ২০১২ সালে লামা উপজেলায় ১৭ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন এবং ২০১৫ সালে জুন মাসে ২জন  মারা গেছেন ।# লামায় পাহাড় ধসে নিহত ৪সৈকত দাশ/এসএস/এমআরআই

Advertisement