ক্যাম্পাস

২৬ দিনের ছুটিতে শাটলের ক্যাম্পাস

কবিগুরুর 'ছুটি' কবিতার মতোই শাটলের ক্যাম্পাসেও বাজছে ছুটির ঘণ্টা। আগামী ২৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে দীর্ঘ ২৬ দিনের অবকাশ। যা চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। ছুটি শেষে আগামী ২৪ জুন ঘুম ভাঙবে নিঝুমপুরী স্বর্গরাজ্য চবির। ফের শুরু হবে সকল শিক্ষা কর্মযজ্ঞ।

Advertisement

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ কে এম নুর আহমেদ জাগো নিউজকে এসব বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, বর্ষাকালীন ছুটি হলেও, এর মধ্যে জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটিও সমন্বয় করা হয়েছে। এদিকে ২২ জুন শুক্রবার ও ২৩ জুন শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আগামী ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তবে ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস না হলেও, পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো সঠিক যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।

অফিস কার্যক্রম ও ছুটির বিষয়ে এ কে এম নুর আহমেদ জানান, একাডেমিক কার্যক্রম ২৭ তারিখ থেকে বন্ধ। যদিও প্রশাসনিক কার্যক্রম ১২ জুন পর্যন্ত চলবে। তবে এর মাঝে ৩ জুন থেকে ৭ জুন বর্ষাকালীন ছুটিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এদিকে ছুটির দিনেও শাটল ট্রেন চলার কথা জানিয়ে সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন জাগো নিউজকে বলেন, অফিস চলাকালীন দিনগুলোতে শাটল ট্রেন ছুটির সময়ের শিডিউল অনুসরণ করে চলাচল করবে। বাকি দিনগুলোতে শাটল ট্রেন বন্ধ থাকবে।

Advertisement

তবে দীর্ঘ ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা থাকার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ছুটিতে হলগুলো খোলা থাকবে। হলের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ (১৩ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত) থাকলেও আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডাইনিং, ক্যান্টিনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চালু থাকবে।

ইতোমধ্যে ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ির পানে ছুটেছেন শিক্ষার্থীরা। সুনসান ক্যাম্পাসে ছুটিগুলো মাটি না করে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাতেই স্বাচ্ছন্দ্য তাদের। তাছাড়া ঈদের সময় বাড়তি ঝামেলা এড়াতে তাই আগেই বাড়ির পথ ধরছেন অনেকে। তবে যারা টিউশন নির্ভর তারা ছুটিতেই যেতে পারছেন না বাড়িতে। চাঁদরাত ই তাদের ভরসা বলে জানান মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বাবু।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘ ছুটিতেও মুক্তি নেই আমাদের। টিউশনের জন্যে রমজান মাসেও বাবা-মা কে ছেড়ে থাকতে হচ্ছে। টিউশন শেষে চাঁদ রাতেই ফিরবো মায়ের কোলে।

Advertisement

আবদুল্লাহ রাকীব/এমএএস/পিআর