জাতীয়

জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবিকে স্মরণ

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, (২৫ মে)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী। যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

Advertisement

এদিকে জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার ভোর থেকে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে যান এবং তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ বছর কবির জন্মদিনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জাতীয় জাগরণে কবি নজরুল।’

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবির মাজার প্রাঙ্গণে ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল, বিশিষ্ট কবি ও সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর।

Advertisement

নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মহসিনা আক্তার খানমের (লীনা তাপসী) নেতৃত্বে সংগীত পরিবেশন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সভাপতির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন জাতীয় কবিকে মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, ‘মানবতাবাদই জাতীয় কবির চেতনার মূল সুর। বহুমাত্রিক চেতনার অধিকারী নজরুলকে নিয়ে অনেকে নানা রাজনীতি করার অপপ্রয়াস করেন, নজরুলকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। প্রকৃত অর্থে নজরুল দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা-নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম সবাইকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন । অসাম্যের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে তিনি জাতীয় জাগরণের অণুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছেন।’

Advertisement

এমএইচ/এমএমজেড/এমএস