যে বয়সে বাড়ির আঙিনা, ফুলবল খেলার মাঠ কিংবা প্রকৃতির ছবি আঁকার কথা, সেই বয়সে রোহিঙ্গা শিশুরা রকেট লঞ্চার, হেলিকপ্টার, মাইনের ছবি আঁকছে। রোহিঙ্গা শিশুরা খুব কাছ থেকে অস্ত্রের ব্যবহার দেখেছে। ৫ কি ৬ বছর বয়সী শিশুরা মনের অজান্তে এখন সেসব অস্ত্রের ছবি আঁকছে।
Advertisement
বলছিলেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পগুলো চারদিন ধরে পরিদর্শন শেষে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বলিউডের এ অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেল ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি রোহিঙ্গা নারী এবং শিশুদের জন্য আরও সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ব রাজনীতির কবলে পড়ে লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু। কিন্তু সেই অবিশ্বাসের বলি হয় নারী ও শিশুরা।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, গত বছর শুরু হওয়া রোহিঙ্গা সংকটের ভয়াবহ চিত্র দেখার পর এবং এখানে এসে বাস্তব চিত্র দেখে সংকটের ব্যাপকতা উপলব্দি করতে পেরেছি।
Advertisement
এই অভিনেত্রী বলেন, প্রতিটি শিশুরই বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এটা তার মৌলিক অধিকার। সেই অধিকারে ভর করেই স্বপ্ন দেখে। অথচ রোহিঙ্গা শিশুরা সে অধিকারের কথা জানানোর কোনো উপায় পাচ্ছে না।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তার জানালা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, অনেকেই সাহায্য করছে। ইউনিসেফের মতো বিশ্ব সংস্থাগুলোও এখানে সাহায্য করছে। কিন্তু আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে এখনই ভাবতে হবে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে ভালোবাসার নজির স্থাপন করেছে, তাতে মুগ্ধ ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সীমান্ত খুলে দিয়ে লাখ লাখ অসহায় মানুষকে প্রাণে বাঁচানোর কারণে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সীমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস চিফ জ্যঁ জ্যাক সিমনও বক্তব্য দেন।
Advertisement
এএসএস/ওআর/বিএ