দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দিতে জ্যেষ্ঠতার নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪৫তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সামশুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজল উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সুপারিশের পর মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় এ পদে নিয়োগ হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে। পিএসসি থেকে ৩৪তম বিসিএস হতে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৮৯৮ জনকে সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৫২১ জনকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদায়ন করা হয়েছে। বাকি ৩৭৭ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া মাত্র নিয়োগ দেয়া হবে।
Advertisement
এ ছাড়া ৩৬তম বিসিএস হতে প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য চার হাজার ৩২০ শূন্য পদ পূরণে মন্ত্রণালয়ের চাহিদার বিপরীতে ৩০২ পদে পিএসপি সুপারিশ করে। এসব পদে শিগগিরই নিয়োগ কাজ শুরু হবে।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন বলেন, নতুন জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকারা জ্যেষ্ঠতার লাভের আশায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে জাতীয়করণের আগে চাকরিতে যোগদানের তারিখ পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেয়ার সময় জ্যেষ্ঠতা নীতিমালা কাঠোরভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement