আন্তর্জাতিক

২৯৮ যাত্রীবাহী মালয়েশীয় বিমানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত!

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছিল বলে আন্তর্জাতিক তদন্ত কর্মকর্তাদের নতুন এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। নতুন এই তদন্তে কর্মকর্তারা বলেছেন, মালয়েশীয় বিমানে আঘাত হানা ওই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার একটি সামরিক ব্রিগেডের কাছে রয়েছে।

Advertisement

ডাচ নেতৃত্বাধীন ওই তদন্ত দল বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি এসেছিল রাশিয়ার ৫৩তম ব্রিগেড থেকে; এই ব্রিগেডের ঘাঁটি দেশটির কুর্কস শহরে।

মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত এই বিমানের ২৯৮ আরোহীর সবাই মারা যান।

ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে একটি বিইউকে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে মালয়েশীয় ওই বিমানটিতে। তবে রাশিয়া বলেছে, এ ধরনের কোনো অস্ত্রই তারা ব্যবহার করে না।

Advertisement

আরও পড়ুন : সেই বিমানের পাশে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা!

কিন্তু বৃহস্পতিবার ডাচ তদন্ত কর্মকর্তা উইলবার্ট পউলিসেন বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বাহনের পুরোটাই রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অংশ।

ডাচ যৌথ এই তদন্ত দল গত চার বছরে বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় তদন্ত পরিচালনা করে আসছে। তদন্ত দলে নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডের নিরাপত্তা বোর্ড জানায়, বিমানটি রাশিয়ার তৈরি বিইউকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। পরের বছর যৌথ তদন্ত দলও দীর্ঘ তদন্তের পর একই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।

Advertisement

এদিকে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, তারা যা বলছে, আমরা সেটাকে সত্য বলে মেনে নিতে পারছি না। আমি বাজি ধরতে পারি, কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারবে না।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই পূর্ব ইউক্রেনের আকাশ সীমানা দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানটির আরোহী ও কর্মীসহ ২৯৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।

নিহতদের মধ্যে ১৯৩ আরোহীই নেদারল্যান্ডের নাগরিক। ইউক্রেন সরকার ও রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

সূত্র : বিবিসি।

এসআইএস/জেআইএম