কক্সবাজার শহরের কলাতলীর উত্তর আদর্শ গ্রামের নিজ বাসা থেকে মঙ্গলবার ভোর রাতে অপহৃত হয় মো. হাসান (২৮)। আর অপহরণের পরদিন কলাতলীর উত্তরণ আবাসিক এলাকার কাটা পাহাড় থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের অদূরে পড়ে থাকা অবস্থায় এক হাজার ইয়াবা ও একটি এলজি এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি খোসা পাওয়া যায়।
Advertisement
নিহত হাসান কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়ার মৃত খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আমেনা খাতুন বলেন, বুধবার রাতে আমরা সবাই সাহ্রি খেতে বসেছি। এমন সময় সাদা পোষাকধারী তিনজন যুবক প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় বাইরেও দাঁড়িয়ে ছিল তিনজন। তারা আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেইট বন্ধ করে দেয়। পেছন পেছন আমি দৌঁড়ে গেলে আমাকে গুলি করবে বলেও হুমকি দেয় তারা। পরে মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে শহরের দিকে চলে যায়। এরপর আমরা সদর থানা, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয় ও র্যাব-৭ কক্সবাজার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে খোঁজ করি। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি। পরে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল মর্গে আমার স্বামীর মরদেহ রয়েছে বলে খবর পাই।
নিহতের বড় ভাই মো. ইলিয়াছ বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এদিকে নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, হাসানকে তুলে নিয়ে যাবার পর আমরা একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কক্সবাজার সদর থানার ওসি অভিযোগটি না নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
তবে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি মাদকের অন্তঃকোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হয়েছেন।
তিনি বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে ও ইয়াবার মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেও একটি ইয়াবা মামলা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই।
ওসি ফরিদ আরও বলেন, নিহতের পরিবার বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। আমরা সেটি গ্রহণ করে তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আপনারাও খুঁজে দেখেন, পুলিশও খুঁজুক।
সায়ীদ আলমগীর/আরএ/পিআর
Advertisement