অনেকদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমান। তিনি জীবিত আছেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে ইরান এবং রাশিয়ার বেশ কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। প্রিন্স সালমান বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন সে বিষয়েও সৌদির তরফ থেকে শক্ত কোনো প্রমান উল্লেখ করা হয়নি।
Advertisement
তবে গত ১৮ মে যুবরাজ সালমানের নিজস্ব দফতর থেকে একটি ছবি একটি টুইটারে প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় যুবরাজ সালমান মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসিসহ দু'জনের কাধেঁ হাত রেখে গল্প করছেন। বাকি দু'জন হলেন আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং বাহরাইনের বাদশাহ বিন ইশা। ওই ছবি প্রকাশ করে সৌদি প্রিন্স বেঁচে আছেন এমন ইঙ্গিতই হয়তো দিতে চেয়েছে সৌদি।
কিন্তু সেই ছবি নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে। কারণ, ওই ছবি ঠিক কখন তোলা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য না দিয়ে ছবির ক্যাপশনে শুধু লেখা হয়েছে, কয়েকদিন আগে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির উদ্যোগে দুই ভাইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রিন্স সালমানের আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। টুইটারে প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রিন্স সালমান অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। সালমানের প্রেস মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
তবে প্রেস মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল এ তথ্য জানালেও ওই মুখপাত্রের নাম প্রকাশ করেনি সংবাদ সংস্থাটি। এমনকি ছবিটি কবে প্রকাশ করা হয়েছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন-এমন গুজবের মধ্যেই তার ছবি প্রকাশ করেছে সৌদি রাজ পরিবার।
একমাস ধরে জনসমক্ষে আসছেন না সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালামান। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে তার কোনো ছবিও প্রকাশ হয়নি। তাই সঙ্গত কারণেই অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে যে, মোহাম্মদ বিন সালমান কি আসলেই বেঁচে আছেন?
এর আগে ইরানের ইংরেজি ভাষার দৈনিক কায়হানের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে এক অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় দেশটির প্রভাবশালী এই যুবরাজ কি তাহলে মারা গেছেন!
Advertisement
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি বলছে, ওইদিনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি কর্তৃপক্ষ যুবরাজের কোনো ছবি অথবা ভিডিও প্রকাশ করেনি। এমনকি এপ্রিলের শেষের দিকে মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে তার প্রথম সফরে রিয়াদে গেলেও যুবরাজকে সে সময় ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, গোলাগুলির সময় নিরাপত্তাবাহিনী সালমানকে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি।
খবর ডেইলি মেইল।
এসআর/টিটিএন/আরআইপি