চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেতে চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকীব হোসাইন। সেই সঙ্গে নিজের বোনসহ ১৩ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে চাকরির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। উপাচার্য তার এ অযৌক্তিক দাবির প্রতি অস্বীকৃতি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।
Advertisement
বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় অচলের হুমকি দেয়া সংগঠনটির আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কি-না সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রক্টর।
প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, গতকাল রাতে যারা ট্রেনের লোকো মাস্টারদের অপহরণ করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী গুরুতর অপরাধের ঘটনায় মামলা করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এর আগেও একই ঘটনায় মামলা করতে বলা হলেও তারা করেনি। অথচ অতীতে রেলপথ সড়কপথ অবরোধের ঘটনায় মামলা করা হয়েছিল। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ট্রেন বন্ধ রাখা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান প্রক্টর।
Advertisement
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কাল থেকে আমরা লোকো মাস্টারদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেবো।
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবরোধের ঘোষণা দেয়া হলেও এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের জোরালো সমর্থন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ মে আসন্ন সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনকে চাপে ফেলে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতেই রমজান মাসে এ আকস্মিক অবরোধের ডাক দেয় তারা।
এছাড়া ২৭ মে থেকে চবিতে শুরু হচ্ছে ২৮ দিনের ঈদের ছুটি। এই মুহূর্তে অবরোধের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসন্ন সিন্ডিকেটে নিয়োগ সংক্রান্ত এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Advertisement
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, শাটল ট্রেনে বর্তমানে ৮টি বগি রয়েছে। এর বেশি বগি বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটফর্মে অবস্থান করা সম্ভব নয়। তবে নতুন একজোড়া ট্রেন চালুর বিষয়ে রেলওয়ে সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। যা বিবেচনাধীন। এছাড়া অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সেশনজট কম। বর্তমান প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাউকে নিয়োগ দেয় হয়নি। তবে অতীতে যারা নিয়োগ পেয়েছে দলীয় কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করার নিয়ম নেই।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগ সাবেক নেতা রাকীব হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, আমি আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে আমার বক্তব্য জানাবো। তবে অবরোধের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/জেআইএম