খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় ডেকে তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
Advertisement
গত ১৫ মে’র কেসিসি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে কী হয়েছিল- জানতে চাওয়া হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত শেষে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। মঙ্গল ও বুধবার তাদের খুলনায় অবস্থানের কথা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন বয়রাস্থ রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের সভাকক্ষে।
তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য যথাক্রমে উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এদিকে, কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, আগামী ৩০ মে বন্ধ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে তিনি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুনর্নির্বাচনের বিষয়টি জনসাধারণকে জানিয়েছেন।
পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য ওই তিনটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এমনটিক প্রার্থীদের এজেন্টও পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ দিয়ে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কি পরিমাণ থাকবে সেটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচন চলাকালে কেসিসির সাধারণ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (একাডেমিক ভবন-২) এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এএম/আরআইপি