কৌতুক- এক : রবীন্দ্রনাথ বিষ খাচ্ছেন!
Advertisement
একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গে বসে সকালের নাস্তা করছিলেন। গান্ধীজি লুচি পছন্দ করতেন না। তাই তাঁকে ওটসের পরিজ খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর রবীন্দ্রনাথ খাচ্ছিলেন গরম গরম লুচি।
গান্ধীজি তাই দেখে বলে উঠলেন-
গান্ধীজি : গুরুদেব, তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছ।
Advertisement
রবীন্দ্রনাথ : বিষই হবে; তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে। কারণ আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষ খাচ্ছি।
আরও পড়ুন- আজকের কৌতুক : ট্রাম্প ফুল স্পিডে ডিম পারে
****
কৌতুক- দুই : শরতের জুতা চুরি
Advertisement
রবীন্দ্রনাথের একটি অভ্যাস ছিল- যখনই তিনি কোনো নাটক বা উপন্যাস লিখতেন, সেটা প্রথম দফা শান্তি নিকেতনে গুণীজন সমাবেশে পড়ে শোনাতেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই এরূপ পাঠের আসরে যোগদান করতেন।
একবার আসরে যোগদানকালে বাইরে জুতা রেখে আসায় সেটা চুরি গেলে তিনি জুতা জোড়া কাগজে মুড়ে বগলদাবা করে আসরে আসতে শুরু করলেন।
রবীন্দ্রনাথ এটা টের পেয়ে গেলেন। তাই একদিন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে এভাবে আসরে প্রবেশ করতে দেখে তিনি বলে উঠলেন, ‘শরৎ, তোমার বগলে ওটা কী পাদুকা-পুরাণ?
আরও পড়ুন- আজকের কৌতুক : আর্ট গ্যালারিতে প্রেমিক-প্রেমিকা
****
কৌতুক- তিন : দেহরঞ্জনেও একজন ওস্তাদ
একবার এক দোলপূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাক্ষাৎ হয়। পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎ দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর জামার পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথকে বেশ রঞ্জিত করে দিলেন।
আবির রঞ্জিত রবীন্দ্রনাথ রাগ না করে বলে উঠলেন, ‘এতদিন জানতাম দ্বিজেন বাবু হাসির গান ও নাটক লিখে সকলের মনোরঞ্জন করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’
এসইউ/জেআইএম