আইন-আদালত

নাজিমের পরিবারকে কেন ১ কোটি টাকা দেয়া হবে না : হাইকোর্ট

ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. নাজিম উদ্দিনের (৪১) মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা কেন ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, সড়ক ও যোগাযোগ সচিব, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ও এ এমডি, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন। আদালতে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ।

পরে গোলাম মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা ট্রিবিউনের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে ওই ঘটনায় বিবেকের তাড়নায় এবং ন্যায়ের স্বার্থে প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনানিকালে আদালত জানতে চেয়েছিলেন, এর আগে তো তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হাসানের ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছিলাম। সে বিষয়টি আপিলে স্থগিত চাওয়া হয়েছে। তার আদেশে কী হলো?’

Advertisement

এরপর আদালতে বলেছি, রাজিব হাসানের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দায়িদের চিহ্নিত করতে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিটি গঠনে হাইকোর্টের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কমিটিকে দায়িদের চিহ্নিত করা ও তাদের দায় নির্ধারণের মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়াই সেই প্রতিবেদনের আলোকে রাজীবের দুই ভাইকে হাইকোর্ট কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তখন আদালত বলেন, রাজীবের ক্ষেত্রে যে আদেশ দিয়েছিলাম। সেই আদেশই দিলাম।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকাল পৌনে ১০টায় দিকে সায়দাবাদ জনপদ মোড় সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে শ্রাবণ সুপার ও মঞ্জিল নামে দুই পরিবহনের একটি বাস আরেকটিকে ওভারটেক করার সময় মো. নাজিম উদ্দিনেকে চাপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কালমার বালুরচরে। তিনি ঢাকার শ্যামপুরে থাকতেন। সেদিন অফিসের কাজে বের হয়েছিলেন তিনি। ।

পরে নাজিম উদ্দিনের ভায়রা আবদুল আলিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় দুজনকে আটক করা হলেও মূলহোতা মঞ্জিল বাসের ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।

Advertisement

এফএইচ/এমএমজেড/জেআইএম