বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। এসব শ্রমিককে রাজপথে রেখে বাংলাদেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি ও বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।রাশেদ খান মেনন বলেন, পোশাক শিল্প-শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে যখনই আন্দোলনে নামে তখনই কুচক্রী মহল প্রভাব খাটিয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে তৎপর হয়েছে উঠে। শ্রমিক নামধারী কিছু নেতা এ শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়।পোশাক শিল্প-মালিকরা অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি বলেন, শ্রমিকরা যদি আইন অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।এ সময় রাশেদ খান মেনন সোয়ান গার্মেন্টসের আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একবার বলে- তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, আবার বিচার করা হলে বলে, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এতেই প্রমাণিত হয়, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করাই বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। নির্বাচনকালীন সরকার-ব্যবস্থা সম্পর্কে অতি সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের জবাবে বিমান মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াতের সাথে সম্পর্ক বহাল রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন, কোনো সরকারের আমলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মন্ডল, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাভারের ধসে যাওয়া ভবন রানা প্লাজার গার্মেন্টসগুলোর শ্রমিকদের পক্ষে সালমা বেগম এবং তাজরিন ফ্যাশনের শ্রমিকদের পক্ষে জরিনা বেগম।আরএস/পিআর
Advertisement