লাইফস্টাইল

রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

গ্রীষ্মকাল চললেও বর্ষা তার আগমনী গান শোনাচ্ছে যেন। যখন তখন শুরু হচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি। গরম ঠান্ডার এই আবহাওয়ায় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা রাখার কারণে শরীরে এই সময়ে পানির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। তাই আমাদের ত্বকে কিছু সমস্যা দেখা দিলে তা অস্বাভাবিক হবে না। দেখতে ফ্যাকাশে লাগলে তা কারোই ভালো লাগে না। তাই রোজায় সতেজ ও সুস্থ ত্বকের জন্য নিতে হবে বাড়তি কিছু যত্ন।

Advertisement

আর্দ্রতা এবং স্যাঁতস্যাঁতেভাব, ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। তাই এই সময় নিয়মিত স্ক্রাবার ব্যবহার করা এবং ত্বক এক্সফলিয়েট করা জরুরি। এতে ত্বকের লোমকূপগুলো বন্ধ হয় না। সপ্তাহে নিয়ম করে দুবার ত্বক এক্সফলিয়েট করা ভালো।

আরও পড়ুন: হাতের রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায়

এই মৌসুমে ত্বকে ফাঙ্গাসের কারণে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই সাবান বা ক্ষারহীন ক্লিনজার ব্যবহার করে দিনে দুতিনবার মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকে অতিরিক্ত তেল, জমে থাকা ময়লা দূর হবে।

Advertisement

প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করতে হবে। এটি খুলে যাওয়া লোমকূপ সংকুচিত করে ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল টোনার ত্বকের যেকোনো ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

যতটা পারেন গা-ঢাকা সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। তাহলে ত্বকে সূর্যের তাপ সরাসরি লাগবেনা, তা ছাড়া সুতির স্কার্ফ ব্যাবহার করতে পারেন। নানা রকম স্টাইলিশ হ্যাট ও এখন বাজারে আছে।

টক দই আর মসুর ডাল বাটার পেস্ট বানিয়ে রাখতে পারেন। গোসলের আগে সারা গায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বক হলে এতে ২ ফোঁটা অলিভওয়েল মিশিয়ে নিন গায়ের রঙ পরিষ্কার হবে।

গোলাপ জলে চন্দন বেটে মুখে লাগান। ত্বকের সব কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে সারা রাত লাগিয়ে রাখুন। তবে শুষ্ক ত্বক হলে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

Advertisement

আরও পড়ুন: চুল পড়া বন্ধ করবে রসুন

এই সময় সারা দিন জুতা-মোজা না পরে বরং হালকা চপ্পল বা খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। তবে খালি পায়ে হাঁটবেন না। রাস্তায় এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু।

ইফতারে ফল খেতে হবে। আম, কাঠাল, আনারস, বেল, কলা, পেয়ারা, শসা, গাজর, পাতিলেবু ও জাম্বুরা ত্বকে এনে দেয় প্রাণ।

এইচএন/আরআইপি