জাতীয়

রমজানে যানজট থেকে বাঁচতে ডিএমপির ১৪ পরামর্শ

রোজায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে চান সবাই। এ জন্য অফিস শেষে তাগিদ থাকে দ্রুত বাসায় ফেরার। তবে পথে একটু অসচেতনতায় সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ যানজট। ইফতারের আগে অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট তৈরি করে অসহনীয় ভোগান্তি।

Advertisement

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সচেতনতাই যানজট নিরসনের মূল পন্থা। ইফতারের আগে রোজাদারদের নিজ ঘরে ফেরানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ।

এ ব্যাপারে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, আপনার একটু সচেতনতাই বদলে দিতে পারে ঢাকা শহরের যানজটের চিত্র। আপনি বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে চান। ঠিক অন্যজনও তার পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটা মনে রেখে রাস্তায় চলাচল করুন। আপনার নিরাপদ রাস্তা চলাচল নিশ্চিতকল্পে ক্লান্তহীনভাবে কাজ করছে পুলিশ।

রমজানে যানজট এড়াতে নাগরিকদের কিছু ভূমিকা বদলে দিতে পারে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার চিত্র উল্লেখ করে ১৪টি পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি। তা হলো-

Advertisement

১. ইফতারের আগে বাড়ি ফিরতে হবে এমন মনোভাব নিয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালানো হতে বিরত থাকুন।

২. ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালান, সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে সৃষ্টি হবে অসহনীয় যানজট।

৩. কোনো অবস্থায় আপনি যানজটের কারণ হবেন না এটা মনে রেখে গাড়ি চালাবেন।

৪. রমজানে সারাদিন রোজা রেখে সবাই ক্লান্ত থাকে, সেক্ষেত্রে অযথা গাড়ির হর্ন বাজাবেন না। হাইড্রলিক হর্ন ও অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

Advertisement

৫. তাড়াহুড়া করে গাড়ি না চালিয়ে নিয়ম মেনে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালান।

৬. রাস্তার পাশে যেখানে-সেখানে গাড়ি রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করে গাড়ি চলাচলের স্বাভাবিক গতি রোধ করে যানজট সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন।

৭. মার্কেট ও শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্কিং করা থেকে বিরত থাকুন।

৮. লক্কর-ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। এতে করে রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

৯. নির্ধারিত স্থান ব্যতীত রাস্তায় যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করবেন না।

১০. সরকারি সিদ্ধান্ত ও মোটরযান আইন মেনে গাড়ি চালান।

১১. গাড়ির চালকেরা আরও বেশি যাত্রীর আশায় রাস্তায় অযথা গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি করবেন না।

১২. রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন। যত্রতত্র রাস্তা পারাপারে গাড়ি চলার স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীর জীবনের হুমকিও রয়েছে।

১৩. ভিআইপি ও অতি ব্যস্ত সড়কে রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির মতো স্বল্প গতির বাহন চালানো হতে বিরত থাকুন।

১৪. রাস্তা ও ফুটপাতে কেউ দোকানপাট বসাবেন না এবং বসাতে নিরুৎসাহিত করুন।

জেইউ/জেডএ/আরআইপি