চলছে রমজান মাস। এ মাসে অনেক নাবাকল ছোট ছোট শিশু রোজা পালন করছে। যদিও নাবালক ছোট শিশুদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ নয়। কিন্তু ছোট ছোট শিশুদের রোজা পালনে রয়েছে অনেক সাওয়াব ও উপকারিতা।
Advertisement
ছোট ছোট শিশুদের রোজা রাখার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো অল্প বয়স থেকে রোজার অভ্যাস গঠন হয়। বড় হলে রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধতার মুখোমুথি হতে হয় না।
তবে জ্ঞানবান শিশু অর্থাৎ যেসব শিশুরা বুঝে কিন্তু রোজা রাখার ফরজ হয়নি; তারা যদি রোজা রাখে তবে তাদের রোজা শুদ্ধ হবে এবং তারা রোজার ঘোষিত সাওয়াবও পাবে।
আরও পড়ুন > কী খেলে সাহরি খাওয়া হয়?
Advertisement
এ সব জ্ঞানবান শিশু রোজাদারের পিতামাতার জন্যও রয়েছে রোজার অভ্যাস গঠন করানোর ও ভালো কাজের নির্দেশ দেয়ার সাওয়াব।
সুতরাং প্রত্যেক শিশুর অভিভাবকদের উচিত, রোজা রাখতে সক্ষম ছোট ছোট শিশুদেরকে রোজা রাখতে আদেশ করা এবং রোজা রাখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ দেয় এবং রোজার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবাগণ নিজ নিজ ছোট ছোট বাচ্চাদের রোজা রাখতে আদেশ দিতেন।
হজরত রুবাইয়ি বিনতে মুআওবিয রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন সকালে মদিনার উপকন্ঠে বসবাসরত আনসারদের কাছে এ খবর পাঠালেন, যারা ফজরের আগে থেকে রোজা রেখেছে, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে।
Advertisement
আর যারা রোজা না রাখা সত্বেও ফজর অতিক্রম করেছে, সেও যেন বাকি দিন রোজা পালন করে। সুতরাং আমরা তার পর থেকে রোজা রাখতাম।
আরও পড়ুন > সাহরি খাওয়ার সময় কতক্ষণ?
আমাদের ছোট ছোট শিশুদের আল্লাহর ইচ্ছায় রোজা রাখাতাম এবং তাদেরকে নিয়ে মসজিদে যেতাম। তাদের জন্য তুলা দ্বারা পুতুল বানাতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তাদেরকে সেই পুতুল দিতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমরা তাদেরকে সে খেলনা দিতাম, যাতে তারা (খাবারের কথা) ভুলে থাকে এবং খেলার মাঝে তাদের রোজা পূর্ণ করতে পারে।’ (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তিদেরকে তাদের ছোট ছোট জ্ঞানবান শিশুদের রোজার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। রোজার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ প্রতিদান লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি